সাফের ফাইনালে জোড়া গোল করে বাংলাদেশ দলকে শিরেপা এনে দেওয়া কৃষ্ণা রানী সরকারসহ কয়েকজনের ব্যাগ থেকে চুরি হয়েছে নগদ অর্থ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষ্ণা। তার ব্যাগে থাকা প্রায় ৯০০ ডলার ও ৫০ হাজার বাংলাদেশি টাকা চুরি হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় দেড় লাখ টাকা হারিয়েছেন ফাইনালে জোড়া গোল করা এই ফুটবলার। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আরেক ফুটবলার তহুরা খাতুন।
শুধু কৃষ্ণার নয়, বরং ডলার ও টাকা চুরি হয়েছে সানজিদা ও শামসুন্নাহার সিনিয়রেরও। এই ব্যাপারে তহুরা বলেন, ‘কৃষ্ণা আর সানজিদার ৯০০ ডলার একসাথে ছিল। বড় শামসুন্নাহারের ৪০০ ডলার। আর কৃষ্ণার ৫০ হাজার টাকা ছিল বাংলায়। এছাড়া ঋতুর (ঋতুপর্ণা) লাগেজ টানাটানি করে নষ্ট করে দিয়েছে। এরকম ব্যাগ টানাটানি করেছে কয়েকজনের। একটা হ্যান্ড লাগেজ খুলে উল্টিয়ে রেখে দিয়েছে।’
এরকম ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি জানিয়ে শামসুন্নাহার বলেন, ‘আমার ৪০০ ডলার হারাইছে। সাথে ছিল কৃষ্ণার ৯০০ ডলার আর ৫০ হাজার টাকা। এটাতো অবাক হওয়ার মতো ঘটনা। এর আগে কখনও হয়নি এরকমটা। এবারই হইছে আমার সাথে।’
গতকাল বিমানবন্দরে সাফজয়ী ফুটবলাররা নামার পর চরম বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়। সকাল থেকেই বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষায় ছিল অসংখ্য মানুষ।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে কয়েক শ সাংবাদিকের ভিড় ছিল। ইমিগ্রেশন শেষ করে নারী ফুটবলারদের যে পথে আসার কথা ছিল, ওই পথে ছিল অসংখ্য সাংবাদিকের ভিড়। যে কারণে সংবাদ সম্মেলনও বাতিল করা হয়। মেয়েরা উঠে পড়েন ছাদখোলা বাসে।
বিমানবন্দরের লাগেজ বেল্টের এক পাশে পড়ে ছিল সাবিনা, কৃষ্ণাদের লাগেজগুলো। সেখানে থাকা কয়েক কর্মকর্তা কাল বলছিলেন, ‘এই লাগেজগুলো কাদের? কেউ নিচ্ছে না কেন?’ এরপর বাফুফের পক্ষ থেকে মেয়েদের লাগেজগুলো সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু বাফুফে ভবনে গিয়ে খেলোয়াড়দের কয়েকজন নিজেদের লাগেজের তালা ভাঙা পান।