প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:৪০ এএম আপডেট: ২২.০৯.২০২২ ৩:২৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সে ছাড় দিয়েছে সরকার। তবে বিসিএস পরীক্ষা এর আওতায় আসবে না।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।
মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং সংস্থাগুলোকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করার জন্য বলেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৫ মার্চের পর থেকে যাদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে বা হচ্ছে, তারা ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত জারি করা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্য হবেন।
এক্ষেত্রে চাকরি প্রার্থীরা করোনা মহামারীর কারণে বয়সের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩৯ মাসের ছাড় পেলেন।
নির্দেশনার চিঠিতে বলা হয়, যেসব মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও এর অধীন অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর এবং সংবিধিবদ্ধ/স্বায়ত্তশাসিত/জাতীয়কৃত প্রতিষ্ঠানসমূহ কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সেসব দপ্তর/প্রতিষ্ঠানের আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে ওই সব পদে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চে সর্বোচ্চ বয়সসীমার মধ্যে থাকলে ওই প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের।
করোনার কারণে এর আগেও দুই দফা বয়সে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। তবে চাকরিপ্রার্থীরা ৩০ বছরের পরিবর্তে আবেদনের বয়স ৩৫ করার দাবি জানিয়ে আসছেন।