প্রকাশ: বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:১৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বে যারা আছেন অর্থাৎ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আমাদেরকে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে এবং অগঠনতান্ত্রিকভাবে আমাদেরকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে ইতিহাস সেই ইতিহাসের সবচে জঘন্য ও বেদনাদায়ক সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে সেটা হচ্ছে এই সামরিক ফরমান জারি করার মাধ্যমে এই ২১জন সদস্যকে বহিস্কারাদেশ দেওয়ার মাধ্যমে। আমরা আজও পর্যন্ত জানি না যে, আমাদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ ছিল বা আদৌ কোনো অভিযোগ ছিল কিনা?
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৩৩তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সদস্য তানজিল ভূঁইয়া তানভীর, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ কমিটি সদস্য, শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ আকন্দ (সাস্ট), বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আবদুল্লাহ বিন মুন্সি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
তানজিল ভূঁইয়া তানভীর বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বে যারা আছেন অর্থাৎ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আমাদেরকে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে এবং অগঠনতান্ত্রিকভাবে আমাদেরকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল। কিন্তু আমরা এখনো জানি না যে আমাদেরকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। আমাদের দোষটা কি ছিল? আমাদের দোষ ত্রুটি থাকতে পারে কিন্তু সেই দোষটা কি সেটা তো আমাদের আগে জানাতে হবে। আমাদেরকে অব্যাহতি দেওয়ার পর আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের শরণাপন্ন হয়। তখন তিনি আমাদের বলে যে, আমিতো ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নয়, তোমরা আমাদের আওয়ামী লীগের যে শ্রদ্ধেয় চার নেতা আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করো। আমারা তখন তাদেরকে গিয়ে বললাম যে আমাদের কে কেন এভাবে অব্যাহতি দেওয়া হলো। তখন তারা স্বীকার করলো যে, হয়তো জয়-লেখকের ভুল হতে পারে। আগামীতে যে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আছে সেই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পর এই বিষয়ে পুনঃ তদন্ত হবে। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পর আমরা তাদের কাছে পুনরায় গেলাম। তখন তারা আমদেরকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের কথা বলে তখন বলল যে আমরা পুনঃ তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। আজ ভোরের পাতা সংলাপের মাধ্যমে একটি প্রশ্ন রাখতে চাই যে, বর্তমান ছাত্রলীগের অনেক বিতর্কিত কর্মীদের নাম আমাদের সামনে আসছে, কিন্তু জয়-লেখক তাদের চেয়ারকে ধরে রাখার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।