প্রকাশ: বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
এবার দুর্গাপূজার পরিসর বাড়ছে বরগুনায়। গতবারের থেকে ৭টি বেশি মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চলছে। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে বরগুনায় জেলার শ্রীনগরে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা বেড়েছে।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের বিভিন্নস্থানে তাই সাড়ম্বরে প্রস্তুতি চলছে। বরগুনায়ও এর কমটি নেই।
প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। মণ্ডপের সাজসজ্জাসহ সার্বিক প্রস্তুতি দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছেন আয়োজক ও পূজা উদযাপন কমিটি।
আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। বরগুনা জেলায় এ বছর ১৬১ টি মণ্ডপে দুর্গা প্রতিমা বসবে। তারই সাজসজ্জায় ব্যস্ত আয়োজকরা। শারদীয় উৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুখ রঞ্জন শীল।
প্রতিমা তৈরির প্রস্তুত প্রণালী: একটি প্রতিমা তৈরিতে বাঁশ, পেরেক ব্যবহার করে কাঠামো তৈরি করা হয়। তারপর কাঠামের সঙ্গে খড় বা বিচালি দিয়ে পাটের রশি বা দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়। পরে মাটি দিয়ে সংযুক্ত করে পাট, বালি ও মাটির সংমিশ্রণ করে বিভিন্ন রকম প্রতিমা মূর্তি তৈরি করা হয়। এগুলো করতে ধীরে ধীরে, শুকানোর জন্য সময় দিতে হয়। কিছু দিন পর মাটির তৈরি গহনা বা ইমিটেশান গহনা ব্যবহার করা হয়। শেষ পর্যায়ে বিভিন্ন রং এর সাহায্যে পরিপূর্ণরূপ দেওয়া হবে তৈরিকৃত প্রতিমার।
এ নিয়ে বরগুনা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খোকন কর্মকার বলেন, এবার অনেক বড় করে পূজা করা হচ্ছে। মহাভারতের কিছু দৃশ্য রাখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে জেলায় ১৬১ টি প্রতিমা গড়া হচ্ছে। এর মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ৩১, পাথরঘাটা ৫০, আমতলী ১৪, বামনা ১৭, বেতাগীতে ৩৭ এবং তালতলী উপজেলায় ১২ টি পূজা মন্ডপে প্রতিমা করা হচ্ছে।
আরও এক আয়োজক জানান, এ বছর অনেক সাড়ম্বরে পূজা উদযাপন করা হবে। গতবছরের তুলনায় এ বছর সাতটি পূজা মণ্ডপ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূর্তি গড়ার কাজ দ্রুত গতিতে এড়িয়ে চলেছে। কিছুদিন পর থেকেই রংয়ের কাজ শুরু হবে। দশভূজা দেবী দুর্গা এবার আসছেন ঘোড়ায় চড়ে। আর ফিরে যাবেন নৌকায়। পূজাকে কেন্দ্র করে তাই সর্বত্রই চলছে সাজ সাজ রব।
উল্লেখ্য, শারদীয় দুর্গাৎসব ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর মহাদশমীতে বিসর্জন মধ্য দিয়ে পূজা সমাপ্তি হবে।