প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:৩৫ পিএম আপডেট: ২১.০৯.২০২২ ১০:৩২ এএম | অনলাইন সংস্করণ
আজকের এই অর্জনের জন্য আমি প্রথমেই একজনকে সাধুবাদ জানাবো যার স্বপ্নদ্রষ্টায় আজকের এই সাফল্য এসেছে। বঙ্গমাতা নারী ফুটবল, এটা করেছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উনি বুঝতে পেরেছিলেন নারীদেরকে ঘর থেকে বের করে আনতে হবে। সেই স্বপ্নের প্রথম প্রতিফলন আমরা গতকাল দেখতে পেলাম।আমার মেয়ে কৃষ্ণা অনেক ভালো খেলেছে গতকাল। তার খেলা দেখে আমাদের এলাকাবাসী খুবই আনন্দিত। সে আমাদের পরিবার ও দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৩৩তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ সভাপতি, আব্দুস সালাম মুর্শেদী, স্বাধীন বাংলার জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম দলনেতা রকিবুল হাসান, জাতীয় নারী ফুটবল দলের স্ট্রাইকার কৃষ্ণা রাণী সরকারের মা নমিতা রাণী সরকার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, আসলে আমার কাছে ভাষা নেই যে কিভাবে আমাদের মেয়েদের সাধুবাদ জানবো। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে নেপালি মেয়েদের ১-৩ গোলে হারিয়ে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী দল। আমি তাদেরকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তারা দেশের জন্য যে গৌরব নিয়ে এসেছে সেটা আমাদের জন্য অনেক গর্বের। আমরা অনেক দিন ধরেই এই ধরণের একটি ফলাফল প্রত্যাশা করছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে এই নারী ফুটবল দলটি আবাসিক ক্যাম্পে আছে এবং প্রপার কোচিং স্টাফ এবং সেখানে তাদেরকে নিয়মিত তদারকি করা সহ সকল ধরণের সুবিধা দেওয়া হয়েছিল তাদেরকে। তারা দীর্ঘদিন একসাথে থাকার কারণেই কিন্তু আজকের এই অসাধারণ ফলাফল এসেছে। অবশ্যই যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আমাদের সহযোগিতা করেছে এবং আজকে যে দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সেই দল এর আগেও দেশে বিভিন্ন দলকে বড় বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। তারা নিয়মিত ভালো খেলছে। করোনাকালীন সময়েও আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। আমি বিশ্বাস করি তারা দেশের জন্য যে সম্মান বয়ে এনেছেন তার জন্য আরও বড় কিছু পাবে। তবে আমি মনে করি শুধু নারী ফুটবল দল নয়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সব ধরণের ফুটবলে অর্থাৎ নারী ফুটবল দলে যেমন বয়সভিত্তিক টীমকে দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক ক্যাম্পে রেখে দেশী বিদেশী কোচিং স্টাফদের দ্বারা ট্রেনিং করানো হচ্ছে ঠিক একইভাবে পুরুষ ফুটবল দলও কিন্তু এখন বাহিরে খেলছে এবং তারাও কিন্তু এখন অনেক ভালো খেলেছে। নারী ফুটবল দল দেশের জন্য যে সম্মান বয়ে এনেছে এটা বাংলাদেশের মানুষ তাদের কাছে প্রত্যাশা করেছিল এবং তারা তাই করে দেখিয়েছে।
রকিবুল হাসান বলেন, গতকাল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল আমাদের জন্য এমন একটি দিন উপহার দিয়েছে যে এটা শুধু যে বাংলাদেশ নারী সম্প্রদায়ের জন্য নয়, এটা শুধু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জন্য আনন্দের দিন নয়, এটা জাতি হিসেবে বাংলাদেশের জন্য একটা বিশাল অর্জন। এই দিনের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আমাদের নারী ক্রিকেটাররা। গতকালই তারা স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছে। সুতরাং একইদিনে দুইটা অর্জন। আজকের এই অর্জনের জন্য আমি প্রথমেই একজনকে সাধুবাদ জানাবো যার স্বপ্নদ্রষ্টায় আজকের এই সাফল্য এসেছে। বঙ্গমাতা নারী ফুটবল, এটা করেছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উনি বুঝতে পেরেছিলেন নারীদেরকে ঘর থেকে বের করে আনতে হবে। সেই স্বপ্নের প্রথম প্রতিফলন আমরা গতকাল দেখতে পেলাম। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আমি আরও ধন্যবাদ জানাতে চাচ্ছি আমাদের ফুটবল ফেডারেশনকে এইজন্য যে তারা আমাদের আমাদের এই বিজয়ী নারী ফুটবলারদের উপর আস্থা রেখেছে।