প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব ও উন্নয়ন খাতে মোট ৫৮৮ কোটি ৬৯ লক্ষ ১০ হাজার ৬৩৮ টাকা আয় এবং ৫৫৯ কোটি ৪৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৭৯ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। বছর শেষে ঘোষিত বাজেটে ২৯ কোটি ২৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ১৫৯ টাকা উদ্বৃত্ত্ব থাকবে।
ঘোষিত বাজেটে পানি সরবরাহ খাতে সর্বাধিক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যানজট নিরসন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জরুরী ত্রাণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, খেলাধুলার মানোন্নয়ন মাঠ নিমার্ণ, রাস্তা, ড্রেন, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ, মশক নিধন, বৃক্ষ রোপণ সহ দারিদ্র বিমোচন খাতে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাজেটের বক্তব্যে সময়মত হোল্ডিং কর পরিশোধ করে নগরীর উন্নয়ন কার্যক্রমে ভূমিকা রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।
এসময় মেয়র আইভী নগরবাসীর কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, নগরবাসীর জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট সংগ্রহে মানুষের ভোগান্তি হয়, এটা আমরা জানি। জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট শীগ্রই নিজ নিজ ওয়ার্ড নগরবাসী শীগ্রই সংগ্রহ করতে পারবেন। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়েও আমাদের কাজ চলছে। নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে হতদরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষিত করে দক্ষ মানবগোষ্ঠী করার লক্ষ্যে কাজ করছি। যানজট নিরসনে ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্লান হবে।
এডিবির সহয়তায় শীতলক্ষ্যার দুইপাড়ে বাঁধাই করার প্রকল্প হয়েছে। নগরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা থেকে অবকাঠামো উন্নয়ন সহ শীতলক্ষ্যা পরিচ্ছন্ন করার জন্য সব ধরনের কাজে আমরা হাত দিয়েছি। অনেকেই অভিযোগ করেন, আমাদের ড্রেনের পানি দিয়ে শীতলক্ষ্যা দূষিত হয়, কিন্তু সেটা কেবল ২০ শতাংশ। বাকিটা শিল্পকারখানা সহ অন্য কারণে।
২০ শতাংশ যেন আমাদের কারণে দূষিত না হয়, এইজন্য ইটিপির ব্যবস্থা করা হবে, প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। নদীকে বাঁচানোর জন্য সকলের কাছে আহ্বান জানিয়েছি। বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এই অর্থবছরের বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে। নতুন করে কোন কর ধার্য করিনি।