শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
শেখ হাসিনার হাত ধরেই সব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে
#শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: ড. শাহিনূর রহমান। #শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল: উৎপল দাস।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:২০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

এক সময়ের কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’, যুদ্ধ বিধ্বস্ত আর ভঙ্গুর অর্থনীতির বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক উন্নয়নে অপ্রতিরোধ্য। বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র, হাজারো বাধা-বিপত্তি এবং নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।  

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৩২তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।

ড. শাহিনূর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও দেশি-বিদেশি ঘাতকচক্র সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু ওই হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তখন দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের এই দিনে ভারত থেকে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। নির্বাসিত জীবনে ভারতে অবস্থানকালে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। ওই বছরের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। শুরু হয় আরেক সংগ্রামী জীবন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে আজকের অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। ১৯৯৬ সালে তিনি দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দীর্ঘ সময়ের পর স্তব্ধ হয়ে যাওয়া অগ্রযাত্রা আবার শুরু হয়। ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ, যার শুরুটা ১৯৯৬ সালে। পাঁচ বছর পর আবার সেই উন্নয়নে ছেদ পড়ে। বহুবার তার প্রাণনাশের চেষ্টা হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এই হামলায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী শহীদ হন। তবে ২০০৯ সালে আবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বগ্রহণের পর পূর্ণ গতিতে এগোতে থাকে উন্নয়ন অভিযাত্রা। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে বিস্ময়করভাবে পাল্টে যেতে থাকে বাংলাদেশের রূপ। এক সময়ের কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’, যুদ্ধ বিধ্বস্ত আর ভঙ্গুর অর্থনীতির বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক উন্নয়নে অপ্রতিরোধ্য। বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র, হাজারো বাধা-বিপত্তি এবং নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।

উৎপল দাস বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ, যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিকল্পিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত বিশ্বের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, জন্মভূমি- ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। আওয়ামী লীগ সরকারের আগে অন্য কোনো সরকারকে এদেশের ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়ন করতে দেখা যায়নি। আর রূপরেখা অনুসারে প্রতি অর্থবছরে বাজেট পেশ এবং টার্গেট পূরণের জন্য কাজ করায় এদেশকে এখন গতিশীল ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত তৈরি করে দিয়েছে। আমরা এখন অদম্য বাংলাদেশের বাসিন্দা। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন, যে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, দীর্ঘতম পদ্মা সেতু যার গৌরবে পরিণত হয়েছে, দেশের তৈরি পোশাক বিদেশিদের গায়ে পরিধেয় বস্ত্র হচ্ছে, বিশ্ব দরবারের প্রথম কাতারে ব্যবসায়-বাণিজ্য, গবেষণা, ক্রীড়া সব ক্ষেত্রে অগ্রণী হয়ে উঠেছে। ধর্মীয় উগ্রবাদীতা আর ধর্মীয় সন্ত্রাস আমাদের মনোবলকে ধ্বংস করতে পারেনি। দেশকে ভালোবেসে, দেশের উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রেখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ ও জাতির কল্যাণে সর্বদা সচল থাকতে হবে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]