প্রকাশ: সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের মাওহা বাজার হইতে বড়ইকান্ধা ভায়া কড়েহা লোনাপাড়া হয়ে বেখৈরহাটী বাজারে যাওয়ার একমাত্র সংযোগ সরকারী গ্রামীন রাস্তাটি দিন দিন বিলীন হয়ে ক্ষেতের সরু আইলে পরিণত হয়েছে। এতে করে কয়েক গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত মাওহা বাজার ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও শত শত পথচারী চলাচল করে। রোগীদের কোন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কোলে করে নিতে হয়। শুকনো-বর্ষা উভয় মৌসুমেই যেন দুর্ভোগের শেষ নেই।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাওহা বাজার থেকে বড়ইকান্ধা গ্রামের সংযোগ রাস্তাটি এখন বিলীন হয়ে গেছে। সরকারি গ্রামীন রাস্তাটির উভয় পাশের জমির মালিকগণ প্রতি বছর বিভিন্ন কৃষি মৌসুমে রাস্তাটি কেটে দিন দিন ক্ষেতের সরু আইলে পরিণত করে দিয়েছে। এ সংযোগ রাস্তায় ২০১৫ সালে ত্রান ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনে ঘোষখালী খালের উপর নির্মিত হয় ব্রীজ পরে বড়ইকান্ধা মসজিদ সংলগ্ন আরেকটি ব্রীজ নির্মিত হলেও এখন পর্যন্ত নির্মান হয়নি রাস্তা। অপর পাশে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ ঈদগাহ মাঠ। কয়েক গ্রামের মানুষের জন্য এ সংযোগ রাস্তাটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য যে এই গ্রামীন রাস্তাটিতে মাটি কাটা হয়েছিল ১৯৯৫ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে, প্রকল্পের নাম ছিল বড়ইকান্ধা মসজিদ হইতে কড়েহা লোনাপাড়া সীমান্তবর্তী এলাকা কেন্দুয়া উপজেলার ভুইয়াপাড়া গ্রামের সীমানা পর্যন্ত।
প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন তৎকালীন ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল সেই সময়ে ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন আব্দুল মান্নান ফকির।
এবিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান ছাদেক জানান ১৯৯৫ সালে এই রাস্তাটিতে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসুচী দিয়ে রাস্তাটিতে মাটি কাটা হয়েছিল কিন্তু ২৫ বছর রাস্তাটি সংস্কার না করায় বর্তমানে রাস্তাটির ক্ষেতের আইলে পরিনত হয়েছে রাস্তাটির প্রস্থ ছিল ১২ ফুট দৈর্ঘ্য আড়াই কিলোমিটার (প্রায়) বর্তমানে এই রাস্তাটি সংস্কার করা খুবই প্রয়োজন মনে করি।
স্থানীয় সচেতন মহল আরও জানায় রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কয়েক বছর যাবৎ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মৌখিক ভাবে একাধিকার জানানোর পরেও কোন ধরনের ব্যবস্থাই নেয়নি।
অথচ গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের টি আর কাবিটা/ কাবিখা, কর্মসৃজন সহ বিভিন্ন প্রকল্প বরাদ্ধ করা হলেও তা গ্রামীন রাস্তা সংস্কারে কোন কাজে আসছেনা।
বর্তমানে এই রাস্তাটি দিয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই যদি রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানান এলাকাবাসী।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আল ফারুখ জানান দায়িত্ব পেয়েছি সাত হয়েছে নতুন সড়ক নির্মানে অগ্রাহায়ণ মাসে কাজ শুরু করতে চেষ্টা করব।