প্রকাশ: রোববার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৮:২০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
দেশের একমাত্র টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স)। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিয়ে প্রশাসনের এক ধরণের প্রহসন চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। ২০১০ সালের ২২ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হওয়ার পর বুটেক্স প্রশাসনে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছে বিএনপি-জামায়াতপন্থীরা। বুটেক্সের নানা অনিয়ম, অসংগতি এবং কেলেংকারি নিয়ে ভোরের পাতার ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এজেন্ডায় রয়েছে বুটেক্স কর্মকর্তাদের পদোন্নতির বিষয়টিও। তবে, ২০২২ সালের ৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২৮ তম সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ১৩/০৫/২০২২ তারিখের বাটেবি /প্রশাঃ/১২৪/২০১৪/৩৯৬ নং স্মারকে গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে বাংলাদেশ টেক্সাইল বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ ( ২০১০ সালের ৪৯ নং আইন) এর ধারা ৫৪ (ড) অনুসারে কর্মকর্তা পদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়ন সংক্রান্ত নীতিমালা -২০১৫ প্রয়োজনীয় সংশোধনপূর্বক তিনজনের পদোন্নতির বিষয়টি সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সেকশন অফিসার (রেজিস্ট্রার শাখা ও স্টোর শাখা) মো. ফারুক হোসাইন, সেকশন অফিসার (উপাচার্যের দপ্তর) মো. বিল্লাল হোসেন এবং প্রশাসনিক শাখার সেকশন অফিসার মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে পদোন্নতির দেয়ার চেষ্টা করছে বুটেক্স প্রশাসন।
তাদেরকে যে নীতিমালা অনুযায়ী পদোন্নতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে সেটি হচ্ছে বুটেক্স আইন ৪ দশমিক ৩ ধারা অনুযায়ী। কিন্তু সেখানে তারা একই দপ্তরে ৫ বছর কাজ করেননি। তাই তাদেরকে নিয়ম ভেঙেই পদোন্নতি দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বুটেক্স প্রশাসন বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান।
এর আগে বুটেক্সে প্রশাসনে একই দপ্তরে ৫ বছর চাকরি না করার কারণে কমপক্ষে ৮ জন সেকশন অফিসার, টেকনিক্যাল অফিসার এবং সহকারী অফিসারকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। তবে স্বজনপ্রীতির কারণে কয়েকজনকে ৫ বছর বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করার পরও পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এসব কলকাঠি নাড়ছেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান, এমন অভিযোগ করেছেন একাধিক কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বুটেক্স কর্মকর্তা ভোরের পাতাকে বলেন, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের চেতনায় বিশ্বাসী তাদেরকে পদোন্নতি দেয়ার ক্ষেত্রে বুটেক্স প্রশাসনের এলার্জি রয়েছে। তবে যারা ছাত্রজীবনে শিবির কর্মী ছিল, তারা তরতর করে জুনিয়র হয়েও পদোন্নতি পাচ্ছে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার এবং বেদনার। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর প্রতি অনুরোধ করছি, পদোন্নতি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম নিয়ে তদন্ত করা হোক।
বুটেক্সের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল কাশেমকে ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি। সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ উল্লেখ করে ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও তিনি তার প্রতিউত্তর করেননি।
আগামী পর্বে: বুটেক্স গিলে খাচ্ছে বিএনপি-জামায়াতপন্থীরা!