প্রকাশ: রোববার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৫:১৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মেসি-নেইমারের বাড়ি জামালপুরে। অবাক করা বিষয় হলেও ঘটনা সত্য। কাতার বিশ্বকাপ শুরু হতে দুই মাসের বেশি সময় থাকলেও এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে উন্মাদনা। তারই ধারাবাহিকতায় ব্রাজিলের পতাকার আদলে জামালপুরে তৈরি করা হয়েছে ‘নেইমার বাড়ি’। এর আগে একই জেলায় তৈরি করা হয়েছিল ‘মেসি বাড়ি’।
বিষয়টি অবাক হওয়ার মতো ঘটনা হলেও এই বাড়ি দুটি দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছেন শত শত মানুষ। বাড়ি দুটিকে ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে রীতিমতো উন্মাদনাই সৃষ্টি হয়েছে। ছোট্ট গ্রামটিতে তৈরি হয়েছে আসন্ন কাতার বিশ্বকাপের আমেজ। আর এসব নিয়ে মেসি আর নেইমারের ভক্তরা রাত-দিন খুনসুটি চালিয়ে যাচ্ছেন পাড়ার অলি-গলি থেকে চায়ের দোকানে।
শখের কবুতর বিক্রি করে আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে টিনের দোচালা ঘর রং করেছেন লিওনেল মেসির অন্ধভক্ত শামীম হাসান নামে এক যুবক।
শামীম হাসান বলেন, আমার শখের কবুতর বিক্রি করে ১০ হাজার টাকা খরচ করে আমার ঘর আর্জেন্টিনার পতাকার মতো রং করি। এই কাজটি শেষ করতে আমার তিন মাস পরিশ্রম দিতে হয়েছে। আমরা বন্ধুরা মিলে রংয়ের কাজ করি।
শামীম হাসান আরও বলেন, আমার প্রিয় দল আর্জেন্টিনা। আর আমি মেসির অন্ধ ভক্ত। এইবার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা কাপ নিবে। আমার এই ভালোবাসা থেকেই এই বাড়িটা বানাইছি। শুধু আর্জেন্টিনার পতাকা নই। এখানে আমার দেশ বাংলাদেশের পতাকার ছবি আছে। আমার প্রিয় তারকা মেসির ছবি আছে। অনেক লোক এটা দেখতে আসে। এটাই আমার শান্তি।
শামীম হাসানের বাড়ির কয়েক বাড়ি পরেই তার প্রতিবেশী মিনহাজ ইসলাম তার বাড়ি রং করেছেন ব্রাজিলের পতাকার আদলে। ইসলামপুর সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মিনহাজ ইসলাম বলেন, আমার প্রতিবেশী শামীম হাসান তার বাড়িকে আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে রং করেছেন। আমিও ব্রাজিলের ভক্ত। তাহলে আমি কেনো পারবো না। আমিও আমার বাড়িকে ব্রাজিলের পতাকার আদলে সাজিয়েছি।
মিনহাজ ইসলাম আরও বলেন, বাড়িটিতে ব্রাজিলের পতাকার আদলে সাজাতে আমার খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। আমার বাবা এই টাকা দিয়েছে। ব্রাজিলের পতাকার মাঝে আমি আমার দেশের পতাকা একেছি। এর সাথে রয়েছে নেইমার আর পেলের ছবি। এই কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল কাপ নিবে বলে আমি আশা করছি।