শেখ হাসিনার জন্য বাঙালি বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে: অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা
প্রকাশ: শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:২৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
এই মাসের ২৮ তারিখে ১৯৪৭ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, স্বাধীন বাংলাদেশে ’৭৫ পরবর্তী সময়ে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে যান। তার অবিচল সংগ্রাম ও নেতৃত্বের দরুন আজ বাংলাদেশ মহাকাশ জয় করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন হয়েছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৩০তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক কর্নেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, বেলজিয়াম বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাবৎকালের বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল সরকার প্রধান। তাঁর নেতৃত্বে আমরা সমুদ্র জয় করেছি, ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে, সকল বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে আমাদের নিজের খরচে স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে ফ্লাইওভার নির্মাণের ফলে এখন যানজট নিয়ন্ত্রণে। শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব আর কৌশলী অবস্থানের কারণেই বাংলাদেশ আজ নবপরিচয়ে পরিচিতি পাচ্ছে। প্রাণঘাতী করোনা মহামারিসহ শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এগিয়ে যাওয়ার রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। আর এই এগিয়ে যাওয়ার গল্পের প্রধান কারিগরই হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিজ পরিবারের সকল সদস্যকে হারানোর পর তার আর হারানোর কিছুই নেই। সে কারণেই হয়ত নিজের জীবনের পরোয়া না করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার আগেই সর্বসম্মতিক্রমে তাকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তখন থেকেই আওয়ামী লীগের হাল ধরে মাঠে-প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর স্বাধীন বাংলাদেশের একমাত্র নেতা শেখ হাসিনা যার দেশের ৬৪ জেলার সকল উপজেলায় যাওয়া হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগকে তৃণমূল পর্যায় থেকে নতুন করে পুনর্জীবন দান করেন এই কার্যক্রমের মাধ্যমে। বাবার মতই সাধারণ মানুষের খুব কাছে থাকতেন তিনি। আর সে কারণেই তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে অগণিতবার। বিশেষত দেশে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং পাকিস্তানপন্থী চেতনার ধারক ও বাহকদের চক্ষুশূল ছিলেন তিনি। শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে যান। তার অবিচল সংগ্রাম ও নেতৃত্বের দরুন আজ বাংলাদেশ মহাকাশ জয় করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন হয়েছে।