প্রকাশ: শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ বর্ডার সীমান্তে গুলাগুলি ও উত্তেজনার কারনে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থানান্তর করে উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
আজ সকাল ৯টার দিকে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ ও উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা শেখ মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে কয়েকটি বাসে করেই পরীক্ষার্থীদের কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এর পর বাংলা ২য় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ হয় শিক্ষার্থীদের। এছাড়া ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪১৯ জন তবে শুরু থেকে ৩জন উপস্থিত ছিল বলে স্কুল সুত্রে জানা যায়।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, “সীমান্তে উত্তেজনা পরিস্থিতির কারনে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। যতদিন দরকার এ সুবিধা প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
শনিবার সকাল ১১ টায় শুরু হয়ে এস এস সি বাংলা ২য় পত্রের পরীক্ষা চলছে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪১৬ জন।
ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, যতদিন সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে, ততদিন এ বাস সেবা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ও সম্পাদক নুরুল হুদা তার পাশে থেকে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।
এদিকে দেশটির বেদ্রোহী গ্রুপ আরকান আর্মি (এএ) ও সেনাবাহীনীর সঙ্গে মাসাধিকাল ধরে চলা এই উত্তেজনা মাঝে একটু ঠান্ডা হলেও ফের শুক্রবার রাত ৮টার দিকে (১৬ সেপ্টেম্বর) বান্দরবান তুমরুর সীমান্তের ৩৪ নম্বর পিলারের কোনার পাড়া জিরো লাইনের রোহিঙ্গা শিবিরে চারটি মটার শেল এসে পড়ে। এগুলোর মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১৭ বছরের কিশোর মোহাম্মদ ইকবাল নিহত হয় এবং স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক কিশোরের পা উড়ে গেছে। এছাড়া গোলার আঘাতে আহত হয় পাঁচজন।
এদিকে মাসাধিকাল ধরে চলা এ ঘটনার দিন দিন আতঙ্কে ভর করছ সীমান্তরত বসবাসরতদরে। আতঙ্কে বন্ধ করা দেয়া হয় তুমরুসহ আশপাশের বাজারের দোকানপাট। এছাড়া বিজিবি সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। তাঁরা সীমান্তে কাউকে যেতে দিচ্ছে না। আর গভীর রাতেও সীমান্তে গোলাগুলি শব্দে আতংকে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয়সহ অন্যান্য বসবারতরা। কুটনৈতিক পর্যায়ে বসে এটির দ্রুত সমাধান চাই তাঁরা।