প্রকাশ: শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া জনগনের মৌলিক অধিকার। প্রতিটি নাগরিক যাতে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পায় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। কথাগুলো বলছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের স্বাস্ব্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান।
তিনি বলেন, স্বাস্ত্যসেবা জনগণের দ্বারগোড়ায় পৌছে দিতে সরকার আন্তরিক ও বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যেই দেশব্যাপি সরকারী হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকসহ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো সেবার মান উন্নত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলোর বিদ্যমান অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা চিহিৃত করে সে ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি শনিবার সকালে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে এসে সাংবাদিক সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রশিদুল আলমের অফিস কক্ষে এসময় উপস্থিত ছিলেন, যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ নাজমুস সাদিক রাসেল, ঝিকরগাছা পৌর মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল, অতিরিক্ত সচিবের ব্যক্তিগত সহকারী ফারুক হোসেন, ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও জান্নাতুন নাহার, এমওডিসি ডাঃ প্রতাপ কুমার রায়সহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।
যশোর জেলার ৮ উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারের স্বাস্থ্যবিভাগের উচ্চ পর্যায়ের এই কর্মকর্তা বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোর পরিস্কার-পরিছন্নতা রাখা অপরিহার্য। তাছাড়া ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর অর্পিত নিজনিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন কিনা সেগুলোর তদারকি দরকার। তিনি বলেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসারের (আরএমও) দায়িত্ব হলো প্রতিদিন সকালে হাসপাতালের সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনসহ প্রতিটি ওয়ার্ডের পাশাপাশি হাসপাতাল চত্তরের পরিস্কার-পরিছন্নতার দিকে খেয়াল রাখা। ও,টি, এক্স-রে, ঔষধ পত্রের স্টক ঠিকঠাক মত আছে কিনা সেটিও দেখভাল করার দায়িত্ব তার।
তিনি বলেন, মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কোন প্রকার অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা পরিলক্ষিত হলে দায়িদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। পরে খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হক।