শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন বিষয়ে গবেষণামূলক প্রকাশনা ‘পরার্থপরতার আনন্দদর্শন’ (গ্রন্থের মোরক উন্মোচন) অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি এসব কথা বলেন।
বেলা সাড়ে ১২ টায় রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান খান কামাল আরো বলেন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলম একজন গুনি মানুষ। এই গুনি মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই আমি আজকের অনুষ্ঠানের দাওয়াত পাওয়ার সাথে সাথে রাজি হয়ে গিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, আমি অনেক আগে থেকে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন সম্পর্কে অবগত। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন সমাজে কি প্রয়োজন তারা তা আগে ভাবে। তার প্রতিকার কী হবে সেটাকে তারা গুরুত্ব দেয়। এখন মাদক ও ধুমপান নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আহছানিয়া মিশন অনেক আগে থেকেই এ বিষয়ে কাজ শুরু করে। মাদকের বিরুদ্ধে, ধুমপানের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, জন সচেতনতা গড়ে তুলতে কাজ করেছে। মাদক নির্মূলে আহ্ছানিয়া মিশন প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এমনকি অন্যরা যখন মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেছে, ততদিনে আহ্ছানিয়া মিশন মাদককে নিরুৎসাহিত করা ও মাদকাসক্তদের নিরাময়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। সমাজে মাদকের ছোবলে ক্ষতিগ্রস্থদের সুস্থ-স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করেছে। অনেক আগে মাদকাসক্ত মেয়েদের চিকিৎসায় হাসপাতাল করেছে। শুনেছি সেখানে এখন আরো বড় হাসপাতাল নির্মাণ করেছে।
তারা ক্যান্সার হাসপাতাল করেছে। ক্যান্সার এমন একটা ব্যাধি যা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। সেই কঠিন ব্যাধি ক্যান্সার চিকিৎসায় আহ্ছানিয়া মিশন এগিয়ে এসছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের অবদানের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরপর আমার এলাকা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে আহসানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছে। যা সুনামের সাথে অত্যন্ত মেধাবি ও প্রতিষ্ঠিত শিক্ষার্থী তৈরি করছে। এছাড়াও আরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। এতোসব প্রতিষ্ঠান এবং অবদান যিনি রেখেছেন তিনি হলেন আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম। তিনি আজ বয়সের ভারে চলতে পারছেন না। কিন্তু তবুও থেমে নেই। তিনি এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে ছুটে চলছেন, সমানে কাজ করছেন। একজন স্বপ্নবাজ মানুষ তিনি। তাকে নিয়ে আজকে যে বইটির মোড়ক উন্মোচন হলো সেখানে লেখক ও গবেষক খন্দকার সাখাওয়াত আলী নাম দিয়েছেন ‘পরার্থপরতার আনন্দদর্শন’। এটা যথার্থই বলেছেন। আমি প্রথমে একটু বুঝতে কষ্ট হলেও, গভীর ভাবে ভেবে দেখলাম ‘পরার্থপরতার আনন্দদর্শন’ একটি সুন্দর উপস্থাপনা।
সব শেষে যারা আজ এ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসেছেন তারা তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন তাই সবাইকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট এবং দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী রফিকুল আলম ও আহছানিয়া মিশন নিয়ে গবেষণামূলক প্রকাশনা ‘পরার্থপরতার আনন্দদর্শন’ (গ্রন্থের মোরক উন্মোচন) অনুষ্ঠান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফাজলী ইলাহী এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান।
এসময় মঞ্চে বিশেষ উপস্থিতি ছিলেন, যাকে নিয়ে গ্রন্থ রচনা করা হয়েছে সে মহান ব্যক্তিত্ব ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ'র সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী রফিকুল আলম।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান সাইকোলজিস্ট রাখী গাঙ্গুলির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করেন, আহছানিয়া ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী। এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, গ্রন্থ প্রণেতা বিশিষ্ট সমাজতাত্ত্বিক ও গবেষক খন্দকার সাখাওয়াত আলী।