সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার মূর্ত প্রতীক শেখ হাসিনা
#শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে: ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। #শেখ হাসিনাই বাংলাদেশ: ড. মিল্টন বিশ্বাস।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:৪৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মাসে ৭৬ বছরে পা রাখবেন। তার বর্ণাঢ্য জীবনে প্রতিটি মুহূর্তে লড়াই, সংগ্রাম, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে আজকের এই অবস্থানে দাঁড়িয়েছে।  ধৈর্যশীলতা, স্মরণশক্তি, কৃতজ্ঞতাবোধ, নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যথার্থ সিদ্ধান্ত প্রদান শেখ হাসিনাকে কিংবদন্তি নেতায় পরিণত করেছে। তাঁর রাজনৈতিক সত্ত্বাটিও অসাধারণ। তিনি নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন সর্বাবস্থায়, সর্বাত্মক।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮২৯তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য, কবি ও কলামিস্ট ড. মিল্টন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।

অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মাসে ৭৬ বছরে পা রাখবেন। তার বর্ণাঢ্য জীবনে প্রতিটি মুহূর্তে লড়াই, সংগ্রাম, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে আজকের এই অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ সালে প্রথমবার, ২০০৯-২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার, ২০১৪-২০১৮ সালে তৃতীয়বার এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সালে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। শেখ হাসিনা কোনোরকমে বেঁচে গেলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ নৃশংসভাবে নিহত হন ২৪ জন। আর আহত হন শত শত কর্মী। সামনের কণ্টকাকীর্ণ বন্ধুর পথ আছে জেনেও তিনি পিতার আর্দশের রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেননি। দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করে চলেছেন এখনও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কল্যাণকর রাষ্ট্রগঠনের প্রবক্তা। রাষ্ট্র পরিচালনায় রয়েছে তার প্রজ্ঞাময় দূরদৃষ্টি। পিতা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে পাওয়া নিখাঁদ দেশপ্রেম ও রাজনৈতিক বুৎপত্তি তাকে অমিত সক্ষম করেছে। ধৈর্যশীলতা, স্মরণশক্তি, কৃতজ্ঞতাবোধ, নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যথার্থ সিদ্ধান্ত প্রদান শেখ হাসিনাকে কিংবদন্তি নেতায় পরিণত করেছে। তাঁর রাজনৈতিক সত্ত্বাটিও অসাধারণ। তিনি নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন সর্বাবস্থায়, সর্বাত্মক। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করেছেন সকল সংকট ও আঘাতের। কখনো ষড়যন্ত্র বা অপকৌশল আশ্রয়ী হননি। বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচারও প্রধানমন্ত্রী থেকেও বিশেষ কোনো ট্রাইব্যুনালে করেননি। শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শনের মূলে বাংলার মানুষ। কারণ বাবার মতো বাংলার মানুষই যে তাঁর আপনজন। পদ্মা সেতু, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল- এসব কথা বা নাই বললাম। এই বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, মাছ উৎপাদনে চতুর্থ। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে মানুষ না খেয়ে মরে না, পেট পুরে খায়। একজন মানুষও যাতে গৃহহীন না থাকে সে স্বপ্নও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তিনি।

ড. মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ৭৬ এ জননেত্রী বিষয় নিয়ে আজকে ভোরের পাতা সংলাপ আয়োজন করেছেন তার জন্য করতিপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেপ্টেম্বর মাস শেখ হাসিনার শাসন মূল্যায়নের বিশেষ মাস। সব মিলে ত্যাগে, অর্জনে ও সাফল্যে একটি মহিমান্বিত মাস হলো ‘সেপ্টেম্বর’। ‘সেপ্টেম্বর’ বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মাস। কারণ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে অদ্যাবধি  চলমান শেখ হাসিনার শাসনকাল। এজন্যই ‘সেপ্টেম্বর’ মাস হোক তাঁর শাসনকাল মূল্যায়নে স্বতন্ত্র ও গুরুত্ববহ একটি মাস। আজকে যে শেখ হাসিনার ৭৬ এ পদযাত্রা সেটা কিন্তু শুরু হয়েছিল কিন্তু মাত্র ৩৪ বছর বয়সে যখন তিনি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসলেন। আজকে ৪১ বছর পরে তিনি ৭৬এ পদার্পণ করতে যাচ্ছেন। এইযে পদযাত্রা কিন্তু কখনোই সুমাচিন ছিলও না। সেটি ছিল কন্টকাকীর্ণ। এইজন্য কবিরা তাকে নিয়ে যখন কবিতা লিখেছেন তখন তারা লিখেছেন শেখ হাসিনা, আপনি সবে মাত্র বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সিঁড়িতে পা দিয়েছেন, কিন্তু আপনার পথে পাথর বিছানো। তার পথে যে গ্রেনেড ও বুলেট আছে সেগুলো মাড়িয়ে তিনি এগিয়ে চলছেন বাংলাদেশের মানুষের সুখ শান্তি, নিরাপত্তা বিধানের জন্য। যখনি তিনি ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন তখনি তিনি বাঙলার মানুষের ভোট ও ভাতের কথায় ভেবেছেন। সেজন্য আমরা দেখি দুঃখের নদী বেয়ে তিনি যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে। আমরা যারা তাকে দেখেছি, তার রাজনৈতিক জীবন সম্বন্ধে জানি তারা দেখি যে, তিনিই বাংলাদেশ। এবং তিনিই বাংলাদেশ বলে তিনি যেখানেই যান বাংলাদেশকে তিনি সম্মানের সঙ্গেই তুলে ধরেন।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]