শেখ হাসিনাই বাংলাদেশ: ড. মিল্টন বিশ্বাস
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:৪৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মাসে ৭৬ বছরে পা রাখবেন। তার বর্ণাঢ্য জীবনে প্রতিটি মুহূর্তে লড়াই, সংগ্রাম, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে আজকের এই অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। ধৈর্যশীলতা, স্মরণশক্তি, কৃতজ্ঞতাবোধ, নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যথার্থ সিদ্ধান্ত প্রদান শেখ হাসিনাকে কিংবদন্তি নেতায় পরিণত করেছে। তাঁর রাজনৈতিক সত্ত্বাটিও অসাধারণ। তিনি নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন সর্বাবস্থায়, সর্বাত্মক।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮২৯তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য, কবি ও কলামিস্ট ড. মিল্টন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ৭৬ এ জননেত্রী বিষয় নিয়ে আজকে ভোরের পাতা সংলাপ আয়োজন করেছেন তার জন্য করতিপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেপ্টেম্বর মাস শেখ হাসিনার শাসন মূল্যায়নের বিশেষ মাস। সব মিলে ত্যাগে, অর্জনে ও সাফল্যে একটি মহিমান্বিত মাস হলো ‘সেপ্টেম্বর’। ‘সেপ্টেম্বর’ বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মাস। কারণ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে অদ্যাবধি চলমান শেখ হাসিনার শাসনকাল। এজন্যই ‘সেপ্টেম্বর’ মাস হোক তাঁর শাসনকাল মূল্যায়নে স্বতন্ত্র ও গুরুত্ববহ একটি মাস। আজকে যে শেখ হাসিনার ৭৬ এ পদযাত্রা সেটা কিন্তু শুরু হয়েছিল কিন্তু মাত্র ৩৪ বছর বয়সে যখন তিনি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসলেন। আজকে ৪১ বছর পরে তিনি ৭৬এ পদার্পণ করতে যাচ্ছেন। এইযে পদযাত্রা কিন্তু কখনোই সুমাচিন ছিলও না। সেটি ছিল কন্টকাকীর্ণ। এইজন্য কবিরা তাকে নিয়ে যখন কবিতা লিখেছেন তখন তারা লিখেছেন শেখ হাসিনা, আপনি সবে মাত্র বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সিঁড়িতে পা দিয়েছেন, কিন্তু আপনার পথে পাথর বিছানো। তার পথে যে গ্রেনেড ও বুলেট আছে সেগুলো মাড়িয়ে তিনি এগিয়ে চলছেন বাংলাদেশের মানুষের সুখ শান্তি, নিরাপত্তা বিধানের জন্য। যখনি তিনি ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন তখনি তিনি বাঙলার মানুষের ভোট ও ভাতের কথায় ভেবেছেন। সেজন্য আমরা দেখি দুঃখের নদী বেয়ে তিনি যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে। আমরা যারা তাকে দেখেছি, তার রাজনৈতিক জীবন সম্বন্ধে জানি তারা দেখি যে, তিনিই বাংলাদেশ। এবং তিনিই বাংলাদেশ বলে তিনি যেখানেই যান বাংলাদেশকে তিনি সম্মানের সঙ্গেই তুলে ধরেন।