বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।
রাঙ্গা বলেন, দলের যদি ধারা পরিবর্তন না হয় তাহলে আমি এই দলে থাকবো না। তবে আমি চাই দলটা যাতে সঠিকভাবে চলে। দলটা যেন সব দুর্যোগের মধ্যে মানুষের পাশে দাঁড়ায় এটাই আমার চাওয়া। এতে আমি প্রয়োজনে আর নির্বাচন করবো না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গতকাল রংপুরে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। আমি না করেছি আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। দীর্ঘ ২৭ বছর এই দলের সাথে আছি নেতাকর্মীদের কিছু আবেগ তো আছেই।
রাঙ্গা বলেন, দলে গণতান্ত্রিক ধারা নেই, কিছু লোক মৌমাছির মতো চেয়ারম্যানের পেছনে ঘুরে ঘুরে কুপরামর্শ দিয়ে দলের ক্ষতি করছে।
জাপা আগামী নির্বাচনে কোনো জোটের সঙ্গে যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা দলের সিনিয়র নেতারা আছেন, কার সঙ্গে জোট করবে তারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। এই নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।
অব্যাহতির কারণ কি জানতে চাইলে রাঙ্গা বলেন, রওশন এরশাদকে সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে সরানোর প্রক্রিয়া নিয়ে একটি টিভিতে মন্তব্য করায় তাকে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার চান কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে মশিউর রহমান বলেন, আমার সদস্য পদ এখনও আছে। আমি আমার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার চাই, তবে না দিলেও দুঃখ নাই।
রওশন এরশাদকে বিরোধীদলের নেতা থেকে সরানোর যে চিঠি এটা নিয়ম মতো হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করবেন আপনি আর রেজুলেশন সই আমি করলাম, এটা কীভাবে হয়। মিটিং এর চিঠি দিলাম তাতে কোনো এজেন্ডা উল্লেখ থাকলো না। শুধু তাই নয় ৩১ আগস্ট মিটিং হলো সবাই সই করলো ১ সেপ্টেম্বর। এগুলো নিয়ম মতো হয়নি। তারা চিঠি লিখে দিয়ে শুধু আমাকে বলে সই করে দাও।
তিনি আরও বলেন, ২০ ধারার বলে অব্যাহতি দিলেন, ১৮ বছর প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলাম, শোকজ ছাড়া কাউকে অব্যহতি দেওয়ার নিয়ম নেই, তারপর আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই ২০ ধারার আমি পরিবর্তন চাই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে গত বুধবার জাতীয় পার্টি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সব পদ-পদবী থেকে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। ইতোমধ্যে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, পরিবহন মালিক সমিতির নেতা রাঙ্গা বর্তমানে রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য। ২০১৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৮ সালে রাঙ্গাকে দলের মহাসচিব করেছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। পরের বছরর তাকে সংসদে বিরোধী দলের প্রধান হুইপ করা হয়।