ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবরে জানা গেছে, আসাদ রউফ ৬৪টি টেস্টে আম্পায়ের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ৪৯টিতে মাঠের আম্পায়ার এবং ১৫টিতে টিভি আম্পায়ার ছিলেন। আর ১৩৯টি ওয়ানডে এবং ২৮টি টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে রউফ ছিলেন পাকিস্তানের সবচেয়ে ভালো আম্পায়ারদের একজন, যিনি ২০০৬ সালে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পান। ২০০৪ সাল থেকে ওডিআই প্যানেলে ছিলেন।
তিনি পাকিস্তানের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আলিম দারের পাশাপাশি পাকিস্তানি আম্পায়ারদের সুনাম বাড়াতে তিনি কিছু কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁর ক্যারিয়ার ২০১৩ সালে আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তখন আইপিএল স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারির তদন্তে মুম্বাই পুলিশ তাঁকে ‘ওয়ান্টেড আসামি’ হিসেবে নাম দেয়।
রউফ আইপিএলে আম্পায়ারিং করছিলেন। সেই মৌসুম শেষ হওয়ার আগে ভারত ছেড়ে চলে যান। পরে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে তাঁকে প্রত্যাহার করে নেয়। তাঁকে এলিট প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়।
অবশ্য রউফ এর প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে তিনি এসিএসইউকে সহযোগিতা করবেন। ২০১৬ সালে বিসিসিআই দুর্নীতি ও অসদাচরণের চারটি অভিযোগে রউফকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল।
আম্পায়ারিং শুরুর আগে রউফ একজন মিডল-অর্ডার ব্যাটার ছিলেন। প্রথম-শ্রেণির ক্যারিয়ারে পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংক এবং রেলওয়ের হয়ে খেলেছেন। ৭১টি প্রথম-শ্রেণির ম্যাচে তাঁর গড় ২৮.৭৬।