#শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মাইলফলকে বাংলাদেশ: ড. শাহিনূর রহমান। #শেখ হাসিনা আছেন বলেই আমরা সাহস পাই: উৎপল দাস।
প্রকাশ: বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:১৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে যেভাবে একজন রাষ্ট্রপতিকে সহ তার পুরো পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো সেখানে নিজের পরিবারের সবাইকে হারিয়েও এই দেশের আপামর জনসাধারণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে এই দেশ ও দলের হাল ধরলেন সেটা আমরা আর অন্য কারও মধ্যে দেখতে পারেনি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আরও এক টার্ম আমাদের দেশের ক্ষমতায় থাকেন তাহলে আমি বিশ্বাস করি উনার দেওয়া ২০৪১ সালের টার্গেটের আগেই আমরা উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যাবো।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮২৭তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. শাহিনূর রহমান বলেন, আজকে আমরা এমন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বসছি যিনি এই বর্তমান সমসাময়িক বিশ্বে সব থেকে আলোচিত একজন মানুষ, তিনি হচ্ছেন আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম হয় তার। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রথম সন্তান। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন শেখ হাসিনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি লাভকারী শেখ হাসিনা তৎকালীন ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে যেভাবে একজন রাষ্ট্রপতিকে সহ তার পুরো পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো সেখানে নিজের পরিবারের সবাইকে হারিয়েও এই দেশের আপামর জনসাধারণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে এই দেশ ও দলের হাল ধরলেন সেটা আমরা আর অন্য কারও মধ্যে দেখতে পারেনি। এমন একটা অবস্থায় মাথা ঠা-া রেখে দেশের হয়ে কাজ করার জন্য মানসিকভাবে নিজের সুস্থ রেখে কাজ করাটা এটা ছিল একটা বিরল ঘটনা। আজকে সেই শেখ হাসিনা যিনি বাংলাদেশের নেতৃত্বের বাইরে গিয়ে এখন বিশ্ববাসীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশকে সেই বিপরীতমুখী অর্থাৎ সেই পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা। কিন্তু শেখ হাসিনা দেশের ফেরার পর তাদের সেই ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের বাস্তবায়ন সম্ভব হয়ে উঠেনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাংলার মাটিতে নেমে বলেছিলেন স্বজনহারা শেখ হাসিনা, ‘আমার হারাবার আর কিছু নেই। বাবা-মা-ভাই, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে হারিয়ে আজ আমি নিঃস্ব। আমি আপনাদের কাছে শপথ করছি, আমার দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করে যাব।’ পঁচাত্তরের পরে নিজের পরিবারকে হারিয়ে যেভাবে মাথা ঠাণ্ডা করে তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে কাজ করে গিয়েছেন ও যাচ্ছেন তার কারণেই আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি আলোচিত নাম।
উৎপল দাস বলেন, বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনা; এই দুটি নামের ভেতরেই আমাদের ভূখণ্ড, আমাদের চেতনা, আমাদের উন্নয়ন সব কিছু খুঁজে পাই এই দুটো নামের ভেতরে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। সমসাময়িক বিশ্বে একজন সফল রাজনীতিবিদ যিনি টানা ৩৭ বছর এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং টানা তৃতীয় বার ও চতুর্থবারে প্রধানমন্ত্রী এই মুহূর্তে ক্ষমতায় থাকা বিশ্বের সবথেকে দীর্ঘমেয়াদী নারী নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের অনেক বাঘা বাঘা নেতাদেরকে টপকে গিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান দিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। তাঁর সরকারের প্রথম মেয়াদেই দৃশ্যমান হয়েছে এই ডিজিটাল বাংলাদেশ। আজ গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট, কম্পিউটার, স্মার্ট ফোন। ইন্টারনেট জগতে বাংলাদেশ (৪-জি), (৫-জি)তে প্রবেশ করেছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে দ্রুত এগিয়ে নিতে কৃষি, শিল্প উৎপাদনের পাশাপাশি অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ওপরও তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণেরও প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে স্যাটেলাইট বিশ্বে। শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার ফলশ্রুতিতেই এ সব কিছু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে। হাসিনা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা, বাংলা ভাই, জেএমবি’র মত দলগুলো বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মত মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে পরিচিত করছিলো। কিন্তু শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফলভাবে এই সকল জঙ্গিগোষ্ঠী ও মৌলবাদীদের দমন করে। পিতার দর্শন, আদর্শ বুকে ধারণ করে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সকল বাধা উপেক্ষা করে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আরও এক টার্ম আমাদের দেশের ক্ষমতায় থাকেন তাহলে আমি বিশ্বাস করি উনার দেওয়া ২০৪১ সালের টার্গেটের আগেই আমরা উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যাবো।