প্রকাশ: বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৮:৫৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান জলাবদ্ধাতায় এলাকাবাসী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে এই জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ভাগ্যকুল এলাকায় প্রায় ৩ শতাধিক বসতবাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়ে। যাতায়াতের বেশ কয়েকটি সংযোগ রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় হাঁটু পানি ভেঁঙ্গে মানুষনকে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। এতে পথচারী শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ রোগীসহ এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, র্যাব-১০, ভাগ্যকুল ক্যাম্প এলাকার পশ্চিম ওয়াবদা পশ্চিম মসজিদ রোডসহ, ভাগ্যকুল বাজার সংলগ্ন মাঠপাড়া রাস্তা, ইউনিয়ন৬নং ওয়ার্ডের বাবু বাড়ির দিকে বসতবাড়ি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। কোন কোন বসতঘরে প্রায় হাঁটু পানির নিচে রয়েছে। এখানকার প্রায় বাড়ির আঙ্গিণায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকার ফলে এই জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্থানীয়রা জানায়, ভাগ্যকুলে বিভিন্ন খাল, ডোবা, পুকুর ও জলাশয় ভরাটের কারণে পানি প্রবাহের রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না করে রাস্তার পাশে বাড়িঘর নির্মাণের কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই দীর্ঘ জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন তারা। অপরদিকে বৃষ্টির জমা পানিতে বিষাক্ত মশার বংশ বিস্তারের পাশাপাশি বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধির শঙ্কা করা হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানান, আগে এ অঞ্চলে বন্যার সময়েও ভাগ্যকুলের রাস্তাঘাট ও বসতবাড়িতে পানি আসতো না। এখন বৃষ্টি হলেই এলাকাটি বন্যায় পরিণত হয়ে পড়ছে। দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট জনদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা। তুষার আহমেদ জয় নামে এক যুবক বলেন, এখানে পানি যাওয়ার মত কোন রাস্তা নেই। চারদিক ড্রেজার দিয়ে ভরাটের কারণে এই সাইডটা সারা বছর পানিতে ডুবে থাকে। সরকারি, বেসকারি, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান আছে ভাগ্যকুলে। জলাবদ্ধতার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে অত্র এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম সারেং সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৃষ্টির কারণে এখানকার বসত ঘরবাড়িতে পানি উঠে গেছে। জলাদ্ধতা নিরসনে ৪দিন আগে নিজস্ব অর্থায়নে স্ক্যাভেটর দিয়ে মাটি কেটে ড্রেন তৈরী করে দেই। টানা বৃষ্টির হওয়ার ফলে পানি নিস্কাশনে ড্রেনটি যথেষ্ট হয়ে উঠেনি। জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পীতভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা জরুরী। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করেছি। জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট জনদের সঙ্গে আলাপ করা হবে।