প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৫:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত অব্যাহত রেখেছে আবহাওয়া অফিস। ফলে সাগর ও সুন্দরবন সংলগ্ন নদ নদী প্রচন্ড উত্তাল, দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে মোংলা বন্দর সহ সুন্দরবন ও এর আশপাশ উপকূলীয় এলাকা জুড়ে। এদিকে বৈরী আবহাওয়ার দরুণ মোংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণের কাজ চরম ব্যাহত হচ্ছে। বন্দরে কয়লা ও ক্লিংকারবাহী সহ মোট ১১টি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে, তবে পাথর, কিংকার ও অন্যান্য জাহাজের পন্য খালাস কাজ স্বাভাবিক থাকলেও বন্ধ রয়েছে সার ও খাদ্যবাহী পন্য ওঠানামা।
নদীতে দুপুরের জোয়ারের পানির উচ্চতা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই দিন সুন্দরবনের সরকারী বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্র করমজল ও অন্যান্য পর্যটক স্পট গুলো পানিতে প্লাবিত হয়েছে। দিনে দুইবার জোয়ারের সময় পানি উঠে তলিয়ে যায় গোটা সুন্দরবন। উম্মুক্ত ভাবে থাকা বন্যপ্রানীগুরোর বাচ্চা ও যে সকল প্রানী গাছে উঠে বসবাস করতে পারে এই প্রানীদের জীবনের ঝুকি নিয়ে সংঙ্কায় রয়েছে বন বিভাগ।
এদিকে, দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়া আর ভারী বৃস্টিপাতের কারণে সুন্দরবনে পর্যটক আসতে পারছেনা। ফলে গত তিন দিনে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষাধীক টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা-কচিখালী, দুবলা, নিলকমল সহ অন্যান্য পর্যটক ষ্পটগুলো। তবে বিপুল পরিমান দর্শনার্থীদের আসার আগ্রহ রয়েছে বলে জানায় কমরজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্টার হওলাদার আজাদ কবির।
অন্যদিকে, বন্দর কেন্দ্রিক চলাচলরত বিভিন্ন নৌযান ও সুন্দরবন সংলগ্ন সাগর নদীতে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। মোংলা বন্দরের ও পশুর নদীর দুই পাড়ে কয়েকশ’ পণ্যবাহি কার্গো জাহাজ ও ট্যুরিষ্ট বোডও নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া আশপাশের বিভিন্ন খালেও নৌযানগুলো নিরাপদে নঙ্গর করে রয়েছে।
অন্যদিকে, গত তিন দিন ধরে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো ঘর থেকে বের হতে পারছে না। তার পরেও সংসারের অভাবের তারনায় টানা মুষলধারে বৃস্টি আর দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়ার মধ্যেও ভ্যান-রিক্স এবং আয় রোজগার করার জন্য বাহন নিয়ে বের হয়েছে। তাই বন্দর কেন্দ্রিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিকরা জীবনের ঝুকি নিয়ে পশুর নদী ও মোংলা ঘসিয়াখালী ক্যানেল নৌকা ট্রলার দিয়ে পার হচ্ছে।
এছাড়া সাগর, সুন্দরবন ও মোংলা পশুর নদীতে মাছ আহরণের জন্য আসা জেলেদের আপাদত নদীতে না নামার জন্য মাইকিং করে সাবধানতা অবলম্বন করার আহবান জানায় মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা।