বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
গোয়ালন্দে দুইটি ইউনিয়নের সংযোগ বাঁশের সেতু
আবুল হোসেন, গোয়ালন্দ(রাজবাড়ী)প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৫:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

গোয়ালন্দের কাওয়ালজানি এলাকায় পদ্মা নদীর ক্যানালের উপর নির্মিত বাঁশের তৈরী সেতুটি  স্বস্তি নিয়ে এসেছে বঞ্চিত চরবাসীর মধ্যে।

গোয়ালন্দের কাওয়ালজানি এলাকায় পদ্মা নদীর ক্যানালের উপর নির্মিত বাঁশের তৈরী সেতুটি স্বস্তি নিয়ে এসেছে বঞ্চিত চরবাসীর মধ্যে।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাউয়াজানি গ্রাম এবং ছোটভাকলা ইউনিয়নের ছোট জলো নামক স্হানে মরা  পদ্মা নদীর  ক্যানাল পারাপারের জন্য দীর্ঘ দিন এলাকাবাসীর যাতায়াতের খেয়া নৌকাই ছিল একমাত্র ভরসা। এতে  দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ ও চরাঞ্চলের  কৃষিপন্য পরিবহনে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হতো।

শুকনো মৌসুমে নদী শুকিয়ে গেলে অল্প পানিতে যখন নৌকা চলতো না, তখন পানিতে ভিজেই পারাপার হতে হতো। সেক্ষেত্রে মেয়ে মানুষ, শিশু ও স্কুল -কলেজের শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্টের শিকার হতে হতো। এখন তাদের  সেই কষ্ট নেই। একটা বাঁশের তৈরী সেতু কিছুটা হলেও  দুঃখ - কষ্ট অনেকটাই দূর করে দিয়েছে। 

চরঞ্চলবাসীর এ দুঃখ লাঘবে সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সি তার নিজস্ব অর্থায়নে সেখানে ৫ ফুট প্রস্থ এবং ১৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি দৃষ্টিনন্দন বাঁশের সেতু নির্মান করে দেন। এলাকাবাসী দাবী স্থায়ী সেতু নির্মাণের। 

দেবগ্রাম ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মালেক মন্ডল  বলেন, এখানে যারা আছে সেই বৃটিশ আমল থেকেই অনেক কষ্টে বসবাস করছে। কাউয়ালজানি গ্রামে প্রায় ১০ হাজার মানুষ এই সেতুটি ব্যাবহার করে। তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও দুর্ভোগ কমেছে। আমরা এখানে একটা স্থায়ী পাঁকা সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। 

অন্জনা আক্তার নামে চরের এক গৃহবধূ বলেন, সারাটা জীবন খেয়া নৌকায় পারাপার হয়েছি। সীমাহীন কষ্ট সহ্য করেছি।এতদিন আমাদের অঞ্চলটি ছিল একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। আগে রাতে জরুরি রোগি নিয়ে হাসাপাতালের যেতে অনেক কষ্ট হতো। এখন বাঁশের  সেতু  নির্মাণ করে দেওয়ায় দুর্ভোগ কিছুটা কমেছে। সেতু হওয়ায় আমরা অনেক খুশি।

দেবগ্রাম  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম  বলেন,  এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা চেয়ারম্যান বাঁশের সেতুটি নির্মাণ করে দিয়েছে । তবে এখানেই শেষ নয়, আগামীতে এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করার জন্য আমি চেষ্টা চালিয়ে যাব।

গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সি বলেন, জনগণের কষ্টের কথা বিবেচনা করে আপাতত একটা বাঁশের সেতু নির্মান করে দিয়েছি। এলাকাটি পদ্মা নদীর ভাঙ্গন কবলিত। ভবিষ্যতে ওখানে নদী শাসন করার সরকারি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা রয়েছে।সেটা হওয়ার পর সেখানে একটি বড় পাকা স্থায়ী সেতুর ব্যাবস্থা করা হবে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]