বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতি আমৃত্যু বিশ্বস্ত ছিলেন সাজেদা চৌধুরী: শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল
প্রকাশ: সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:১১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী শৈশব থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক নেতা। দেশ ও মানুষের কল্যাণে অসামান্য অবদান রেখেছেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশ এক বরেণ্য রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালো। একজন সংগ্রামী-আদর্শবাদী নেতা ছিলেন তিনি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮২৫তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিরাজগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, আওয়ামী লীগ নেতা শফি আহমেদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক কর্নেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, আমি প্রথমেই আমাদের প্রয়াত নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক জানাচ্ছি এবং মরহুমের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী শৈশব থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধকালীন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগ যখন ক্রান্তিকালে পড়েছিল তখন সাজেদা চৌধুরী দলের হাল ধরেন। দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সাজেদা চৌধুরী। সে সময় আওয়ামী লীগের জন্য একটি কঠিন সময় ছিল। এরপর থেকে বর্তমান পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যতগুলো কমিটি গঠন করা হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি আমৃত্যু বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধুর কন্যার প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন। তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, সংসদে উপনেতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়কের দায়িত্বও তিনি পালন করছেন। এই মহীয়সী নারীর প্রতি আমারা সর্বোচ্চ সম্মান ও শ্রদ্ধা জানায়।