প্রকাশ: সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৫:৪৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে তিনি যে অসামান্য অবদান রেখেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি মনে করেন, প্রতিথযশা এ বরেণ্য রাজনীতিবিদকে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশে এ জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।
এর আগে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাজেদা চৌধুরী।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯-১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন সাজেদা চৌধুরী।
১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ ও মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় অবদানের জন্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।