প্রকাশ: রোববার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসিত জীবন যাপনে বাধ্য হয়ে অবশেষে ১৭ মে ১৯৮১ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার প্রিয় স্বদেশে প্রত্যাবর্তন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ‘ভোট ও ভাতের’ অধিকার আদায় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শুরু হয় তাঁর জীবনের এক সুদীর্ঘ সংগ্রাম। বারবার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আজকে বাংলাদেশকে এই পর্যায়ে আনতে তিনি সক্ষম হয়েছেন, যেটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। আজকে হাতে গোনা কয়েকজন রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এটা জাতি হিসেবে আমাদের গর্বের।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮২৪তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর সদরে মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি), সেন্ট্রাল কাউন্সিলর বি এম এ ডা. শারমিন রহমান অমি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
উৎপল দাস বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন সন্নিকটে। জাতির পিতার সুযোগ্য সন্তান হিসেবে সেই ছোট বেলা থেকে যেভাবে বেড়ে উঠেছেন তা রীতিমতো নজিরবিহীন। তিনি জাতির পিতার সুকন্যা হিসেবে নিজেকে চার দেয়ালের মধ্যে আটকিয়ে রাখেননি, তিনি তার সে সময় থেকেই রাজনীতিতে পা রেখেছেন ও সে সময় থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এই যে বেড়ে উঠাটা ও জাতির পিতার কাছ থেকে শিখে বড় হওয়াটা একেবারেই আলাদা। তা তাকে ঋদ্ধ করেছে এবং সম্পূর্ণ মানুষে পরিণত করেছে। পরবর্তীতে পঁচাত্তরের বিয়োগান্তক ঘটনায় আমরা যখন কিংকর্তব্যবিমুড় হয়ে গেলাম তখন সেই রকম একটি পটভূমিতে শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকার পর সকল ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন। আমাদের দেশের সব থেকে প্রাচীনতম দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন তখন। সব হারানোর বেদনা অন্যদিকে নিজের জীবনের ঝুঁকি, এই অবস্থায় তিনি দেশে এসেছিলেন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। সব হারিয়ে নিজেকে উৎসর্গ করতে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। এজন্য তিনি সফল হয়েছেন। বারবার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আজকে বাংলাদেশকে এই পর্যায়ে আনতে তিনি সক্ষম হয়েছেন, যেটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। আজকে হাতে গোনা কয়েকজন রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এটা জাতি হিসেবে আমাদের গর্বের।