প্রকাশ: রোববার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৮:৫৩ পিএম আপডেট: ১১.০৯.২০২২ ৮:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন।
শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। আগামী ১৭ অক্টোবর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন ১৪ জন। এদের মধ্যে শনিবার চূড়ান্ত প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
ফরিদপুর জেলায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া ফারুক হোসেন ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দ্বায়িত্ব পালনের পর তিনি বর্তমানে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। স্কুল জীবন পার করে ফরিদপুরের ইয়াছিন কলেজে ছাত্র থাকা অবস্থায় ফারুক হোসেন ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন।
১৯৮০ সালে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৮১ সালে কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত টানা ৪ বছর এরশাদ শাসনামলে তিনি ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৩ সালে জেলে থাকা অবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হন ফারুক হোসেন।
এছাড়া জেলে থাকা অবস্থায় ১৯৮৬ সালে যুবলীগ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি । ১৯৯৫ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত জেলা যুবলীগের সভাপতি ও তার পরের বছর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য হন। ২০০০ থেকে ২০০৩ দলের দুঃসময়ে তিনি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন এবং ২০১২ সালে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক আরিফ জানিয়েছেন, জেলায় যারা মনোনয়ন কিনেছিলেন আমি বিশ্বাস করি তারা প্রত্যেকেই যোগ্য, তবে এর মধ্য থেকে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন আমরা সবাই তাকে সমর্থন দেব।
ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ফারুক হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। ছাত্রলীগ করেছি, যুবলীগ করেছি, দলীয় প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যায়ন করেছেন। আমি বিশ্বাস করি যেভাবে দলীয় কর্মীদের পাশে থেকেছি আজ এই নির্বাচনে দলীয়কর্মীরা ঠিক তেমনি ভাবে আমার পাশে থেকে বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন।
গত ২৩ আগস্ট নির্বাচন কমিশন তিন পার্বত্য জেলা বাদ দিয়ে ৬১ জেলা পরিষদে ভোটের তফসিল ঘোষণা করে। এতে সারা দেশের ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত ৬৩ হাজারের বেশি জনপ্রতিনিধি ভোট দেবেন। তফসিল অনুযায়ী, ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে।