চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনকে জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের ৯ নেতা। এদিকে নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াতের মনোনয়ন প্রত্যাশী কাউকে পাওয়া যায়নি। যদিও বিএনপি এ নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। তবে এ নির্বাচনে কে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হচ্ছেন সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।
জানা গেছে, জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে দুজন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াহেদ ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল হক লিটন। এরা দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা প্রচার চালাচ্ছেন। ভোটারদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন তারা। বিএনপি ও জামায়াত এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, থাকছে না দলীয় প্রতীকও। ফলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে প্রার্থীদের ব্যক্তি ইমেজ বিশেষ গুরুত্ব পাবে। কে হবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল ৪টায় দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের ৬১ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত হয়। এ সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনি চাঁপাইননবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন ২৩ আগস্ট জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে ১৭ অক্টোবর। এ ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন জেলা প্রশাসক। জেলার ৫ উপজেলা, চার পৌরসভা ও ৪৫ ইউনিয়নের ৬৬০ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সামিউল হক লিটন বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি ভাবনায় আছে। তবে এখনই চূড়ান্ত নয়। ভোটার এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলছে। নির্বাচনের পরিবেশ, ভোটার ও শুভাকাক্সক্ষীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। প্রার্থী হলে তো জানতে পারবেন।
আওয়ামী লীগ মনোননীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন বলেন, আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। যে দল জাতির জনকের হাতে গড়া, সেই দল থেকে মনোনয়ন পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আমি শুকরিয়া আদায় করছি। বাকি জীবনটা জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি নেতাকর্মীকে মাঠে নেমে কাজ করতে হবে। যে কোনো মূল্যে ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে হবে। নেতাকর্মীর দায়িত্ব হচ্ছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে জয়লাভ করানো।