শেখ হাসিনার ছোঁয়ায় উন্নয়নের মাইলফলকে বাংলাদেশ: অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত
প্রকাশ: শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:৫৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মময়ী জীবন নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় তিনি তার বাবাকে হারিয়েছেন ছোট বেলা থেকেই। সেই পঞ্চান্ন বছরের বঙ্গবন্ধুকে তিনি মাত্র কয়েকবছর কাছে পেয়েছিলেন। তবুও তিনি যতটুকুন সময় পেয়েছিলেন, যতটুকু শিখেছিলেন তার বাবার কাছ থেকে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নত সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের মহাসড়কে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮২৩তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস এন্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিজের গভর্নিংবডির সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (নীলদল) সাবেক সভাপতি, লাইফ এন্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মময়ী জীবন নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় তিনি তার বাবাকে হারিয়েছেন ছোট বেলা থেকেই। সেই পঞ্চান্ন বছরের বঙ্গবন্ধুকে তিনি মাত্র কয়েকবছর কাছে পেয়েছিলেন। তবুও তিনি যতটুকুন সময় পেয়েছিলেন, যতটুকু শিখেছিলেন তার বাবার কাছ থেকে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নত সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম ঘটনা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার সময় আল্লাহর অশেষ রহমতে তার দুইকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকার কারণে বেঁচে গিয়েছিলেন। আল্লাহর আশীর্বাদে তারা হয়তো সেদিন বেঁচে গিয়েছিলেন। হয়তোবা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পরিণত করা, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া, দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে তোলা এবং দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যই হয়তো প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আল্লাহ তায়ালা। সেই সময়টিতে পুরো পরিবারকে হারিয়ে এই যে প্রায় চার দশকের বেশি সময় ধরে সেই কষ্ট বয়ে বেড়ানো শুধু তাদের পক্ষে সম্ভব যারা দেশকে ভালোবাসে, দেশের মানুষকে ভালোবাসে, আর যারা পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে চান, সোনার বাংলা গড়তে চান, আসলে তাদের পক্ষে সম্ভব অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। ২০০৯ সালে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বগ্রহণের পর পূর্ণ গতিতে এগোতে থাকে উন্নয়ন অভিযাত্রা। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে বিস্ময়করভাবে পাল্টে যেতে থাকে বাংলাদেশের রূপ। এক সময়ের কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’, যুদ্ধ বিধ্বস্ত আর ভঙ্গুর অর্থনীতির বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক উন্নয়নে অপ্রতিরোধ্য। বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র, হাজারো বাধা-বিপত্তি এবং নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।