ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় একটি বাসায় গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে লাগা আগুনে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় চিকিৎসাধীন ইয়াসিনও (১২) মারা গেছে। ফলে এ দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে কেউই বেঁচে রইলেন না।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় সর্বশেষ বেঁচে থাকা ইয়াসিন নামে এক শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। পরিবারের দগ্ধ ছয়জনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এর আগে মৃত অন্য পাঁচজন হলেন- মরিয়ম (৮), শাহাদাত হোসেন (২৫), বেগম (৬০), ইদুনী বেগম (৫০), সোনিয়া আক্তার (২৬)।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে কেরানীগঞ্জ জিনজিরা মান্দাইল মন্দিরের সামনের বাসায় এ আগুনের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার দিন তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া নিহত শাহাদতের বন্ধু নাজমুল হাসান সাকিব জানান, দগ্ধরা দ্বিতীয় তলা বাসার নিচ তলায় থাকেন। ভোরে আগুন-আগুন বলে চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ওই বাসায় ছুটে যান। সেখানে ওই ছয়জনকে দগ্ধ অবস্থায় পান। পরে তাদেরকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
সাকিব আরও জানান, দগ্ধদের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন- ভোরে বেগম রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালাইতেই ঘরে আগুন লেগে যায়। ওই আগুনে তারা দগ্ধ হয়।