প্রকাশ: বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসকল উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছেন সেখানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে ছাত্রলীগ। তাই আমি ছাত্রলীগের আগামী নেতৃত্বে সৎ ও সাহসী নেতৃত্ব দেখতে চাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে, সব অশুভ শক্তিকে পেছনে ফেলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে, দেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮২০তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি, হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাকসুদ রানা মিঠু, ১/১১ এ কারানির্যাতিত ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, (টিএসসি) ঢাবি এর সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম সুজন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
মাকসুদ রানা মিঠু বলেন, বাংলা, বাঙালি, স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠার সময় ছিল পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ। পরবর্তী সময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের পরিবর্তে হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তখন থেকেই বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে দিয়েই তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল।১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর সর্বপ্রথম মাতৃভাষা বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছিল। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। ১৯৬৯ সালে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল। ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে তৎকালীন ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী শহীদ হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ১৯৭৫-পরবর্তী বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাগ্যাকাশে যে কালো মেঘ গ্রাস করেছিল, সে মেঘ সরাতে প্রত্যাশার সূর্য হাতে ১৯৮১ সালে প্রত্যাবর্তন করেন আমাদের প্রাণের নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সেদিন প্রিয় নেত্রীর পাশে ভ্যানগার্ডের ভূমিকায় ছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ১/১১’র সময় ছাত্রলীগ রাজপথে সর্বদা পরিশ্রম করেছে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর বাংলার জনগণের রায় নিয়ে ডিজিটাল এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলার মানুষের সেবায় নিয়োজিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসকল উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছেন সেখানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে ছাত্রলীগ। তাই আমি ছাত্রলীগের আগামী নেতৃত্বে সৎ ও সাহসী নেতৃত্ব দেখতে চাই।