প্রকাশ: রোববার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:৩১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
দেশে কেউ গৃহহীন থাকবেনা,সরকারের এমন ঘোষনাতে চা শ্রমিকরাও পরে,কেননা তারাও এ দেশের নাগরিক। তাই চা শ্রমিকদেরও ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে, এমন ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, চা শিল্পকে রক্ষার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব কিছু করবে,সেই সঙ্গে চা শিল্প যেন ধ্বংস না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে মালিক ও শ্রমিদের।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলাধীন পাত্রখোলা চা বাগানসহ একযোগে দেশের আর তিন জেলার চা শ্রমিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
চার জেলার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সর্বপ্রথম মৌলভীবাজার জেলার চা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় মজুরি বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শ্রমিকরা। পাশাপাশি তাদের জীবনের নানা সুবিধা-অসুবিধার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মৃওিকা চা বাগানের শ্রমিক রিতা আনিকা ও মাধবপুর চা বাগানের শ্রমিক সোনামনি রাজশ্রী। তাঁরা প্রধান মন্ত্রীর প্রতি তাদের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করন, মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয়মাস বৃদ্ধিকরন,উন্নত চিকিৎসার জন্য এম.বি.বি.এস ডাক্তার নিয়োগ ও এম্বুলেন্স প্রদান এবং প্রতিটি বাগানের বিদ্যালয়কে জাতীয়করন করার জোর দাবী জানান । এসময় প্রধানমন্ত্রী তাদের সব দাবী-দাওয়া পূরণ হবে এমন আশস্ত করে বলেন,সব নাগরিক যে অধিকার পায় তারাও তা পাবে, এক্ষেতে মালিকদের শ্রমিকদের প্রতি আর যতœশীল হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এরআগে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। সভায় গণভবনের পাশাপাশি, পাত্রখোলা চা বাগান থেকে চাশ্রমিক বৃন্দ, ভ্যালি নেতা ,চা বাগানের সব প ায়েতরা।মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, জেলা পরিষদ প্রশাসক মিছবাহুর রহমান, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, সাত উপজেলার ইউএনও, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় পাত্রখোলা চা বাগানের পাশাপাশি জেলার আরও ২১ টি নির্দারিত স্থান থেকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে অন্যান্য উপজেলার শ্রমিকরাও প্রধানমন্ত্রীর এই ভিডিও কনফারেন্স সরাসরি দেখতে পান। মতবিনিময় শেষে চা শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর সম্মআনে কাঠি নৃত্য প্রদর্শন করেন,যাদেখে মুগ্ধ হন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা ১৯ দিন আন্দোলনের পর গত ২৮ আগস্ট চা-বাগানে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। তার আগে ২৭ আগস্ট রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাগান মালিকদের সঙ্গে বসে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। তবে চা-শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার দাবি জানান। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজ এ ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।