প্রকাশ: রোববার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:৫৪ পিএম আপডেট: ০৪.০৯.২০২২ ৮:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কড়া প্রতিবাদের পরও সীমান্ত লঙ্ঘন করে চলেছে মিয়ানমার। বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টারশেল ছোড়ার এক সপ্তাহের মাথায় ফের যুদ্ধবিমান থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে গোলা ছুড়েছে মিয়ানমার বাহিনী। কেউ কেউ মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগে ফের এই ঘটনা কি বিশেষ কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছে? সেক্ষেত্রে চিন মায়ানমারকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে পরোক্ষ ভাবে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি না করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে বলেও মনে করছেন অনেকে।
রাত পোহালেই শুরু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর। নয়া দিল্লিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মোদি এবং হাসিনা। তার আগেই বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়ল মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর গোলা। বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছে না বাংলাদেশ। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে পরপর তিনবার বাংলাদেশ মায়ানমারের সীমান্তবর্তী বান্দারবনে মর্টারশেল এসে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের কাছে মায়ানমার সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান ও দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টারকে টহল দিতে দেখা যায়। যুদ্ধবিমান থেকে প্রায় ৮-১০টি গোলা ছোড়া হয় আর হেলিকপ্টার থেকেও ৩০-৩৫টি গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের সীমানা পিলার ৪০-এর ১২০ মিটার ভেতরে যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা এসে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এরপরই তৎপর হয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
জানা যাচ্ছে, মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মো যিনি ঢাকায় নিযুক্ত আছেন তাঁকে ডেকে কড়া বার্তা জানিয়েছে ঢাকা। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় হাজির হন রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মো। সেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অণু বিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির রাষ্ট্রদূতের কাছে দেশটি থেকে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে নিক্ষেপ করা গোলার বিষয়ে ব্যাখ্যা চান। এসময় এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানো হয়।
এর আগে গত সপ্তাহেও মায়ানমার থেকে মর্টার শেল এসে পড়ে বাংলাদেশে। গত ১ সেপ্টেম্বর বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনায় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছিলেন, মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ অবস্থা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে বাংলাদেশ। সে দেশের আর একজন নাগরিকও যেন বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে, সেজন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের সরকার।
কেউ কেউ মনে করছেন, ভারত সফরের আগে ফের এই ঘটনা কি বিশেষ কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছে?সেক্ষেত্রে চিন মায়ানমারকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে পরোক্ষ ভাবে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি না করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে বলেও মনে করছেন অনেকে।