#আ.লীগের একনিষ্ঠ কর্মীদের সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে: ইয়াজ আল রিয়াদ #একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার: মাহবুব খান
আমাদের দেশে বর্তমান যে অর্থনীতি অবস্থা চলমান রয়েছে সেটা যদি সামনেও সুস্থ ভাবে চলমান থাকে এবং আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সে ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আমার মনে হয় না যে, বিরোধী দল গুলো সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সংগ্রাম করে কোন কিছু করতে পারবে। যারা বলছে পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। তাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্লোগান হবে একটিই, একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮১৬তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ইয়াজ আল রিয়াদ বলেন, আমাদের দেশে বর্তমান যে অর্থনীতি অবস্থা চলমান রয়েছে সেটা যদি সামনেও সুস্থ ভাবে চলমান থাকে এবং আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সে ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আমার মনে হয় না যে, বিরোধী দল গুলো সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সংগ্রাম করে কোন কিছু করতে পারবে। জন্মের প্রথম লগ্ন থেকেই বায়ান্নতে ভাষার অধিকার, বাষট্টিতে শিক্ষার অধিকার, ছেষট্টিতে বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, ঊনসত্তরে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সত্তুরে ভোটের অধিকার এবং সর্বোপরি একাত্তরে স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সাত দশকের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। যখন বাঙালি জাতি, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছিল, ঠিক তখনই বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের উজ্জ্বলতম নক্ষত্রটিকে নিভিয়ে দিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হিংস্র হায়েনারা আঘাত হানে। পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট আমাদের দেশের সবার জন্য একটি বড় ব্যর্থতা। এটি শুধু আমাদের আওয়ামী লীগের জন্য ব্যর্থতা সেটা কিন্তু নয়, এটা আমাদের পুরো জাতির জন্য ব্যর্থতা। আমাদের এখন সবচে বড় সমস্যা হচ্ছে আমাদের যেসকল ব্যর্থতা গুলো রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে যারা এই দলের পাশে ছিল, যারা এই দলের জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, যারা এই দলের জন্য নিজের জীবনের সব কিছু আত্মত্যাগ করেছিল তাদের কি আজকে এই সময়ে পর্যন্ত পুরস্কৃত করতে পেরেছি? আমরা কি তাদের মূল্যায়ন করতে পেরেছি? একটি রাজনৈতিক দলে সংকট আসবে এটি ধরে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা অতীতে আমাদের দলের জন্য সব কিছু বিসর্জন করেছে তাদের যদি আমরা মূল্যায়ন করতে না পারি তাহলে আগামীতে যদি আমাদের সেই আগের মতো সংকট সৃষ্টি হয় তাহলে তখন এই মানুষ গুলো কিন্তু আর উৎসাহ পাবেন না যারা অতীতে এবং আজ দলের জন্য আত্মত্যাগ করে যাচ্ছে।
মাহবুব খান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সংগঠনটির দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে দেশ ও জাতির জন্য গৌরবময় অসংখ্য অর্জন। সমৃদ্ধ সেসব অর্জন জাতিকে দিয়েছে নতুন পথের ঠিকানা। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হাজার বছরের পরাধিন রাষ্ট্রকে স্বাধীন করার জন্য। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আন্দোলনের ইতিহাস, সংগ্রামের ইতিহাস, আত্মমানবতার ইতিহাসের মাধ্যমে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ২০২২ সালে উপনীত হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আগামী ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে যে নেতৃত্ব আসবে সেই নেতৃত্বের মাধ্যমে অতীতের ন্যায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করার জন্য, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভীষণ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মী কাজ করে গিয়েছে এবং সামনেও কাজ করবে। দেশের সকল সংকটে অতিতেও যেমন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ঠিক একইভাবে আগামীতেও করবে ইনশাআল্লাহ্। এদেশের সকল আন্দোলন সংগ্রাম, এদেশের স্বাধিকার আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, পাকিস্তান স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন, জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে আন্দোলন, খন্দকার মোস্তাকের বিরুদ্ধে আন্দোলন, স্বৈরাচার শাসক এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন সহ সকল আন্দোলনে কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একটিভ ছিল। যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান রাষ্ট্রে পরিণীত করতে চায়, যারা বাংলাদেশে ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করতে চায় তাদেরকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর মধ্যে আছে তরুণ মুজিবের নান্দনিকতা ও আদর্শ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে, সব অশুভ শক্তিকে পেছনে ফেলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে, দেশগড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। যারা বলছে পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। তাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্লোগান হবে একটিই, একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।