প্রকাশ: শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমাদের দেশে বর্তমান যে অর্থনীতি অবস্থা চলমান রয়েছে সেটা যদি সামনেও সুস্থ ভাবে চলমান থাকে এবং আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সে ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আমার মনে হয় না যে, বিরোধী দল গুলো সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সংগ্রাম করে কোন কিছু করতে পারবে। যারা বলছে পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। তাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্লোগান হবে একটিই, একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮১৬তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ইয়াজ আল রিয়াদ বলেন, আমাদের দেশে বর্তমান যে অর্থনীতি অবস্থা চলমান রয়েছে সেটা যদি সামনেও সুস্থ ভাবে চলমান থাকে এবং আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সে ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আমার মনে হয় না যে, বিরোধী দল গুলো সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সংগ্রাম করে কোন কিছু করতে পারবে। জন্মের প্রথম লগ্ন থেকেই বায়ান্নতে ভাষার অধিকার, বাষট্টিতে শিক্ষার অধিকার, ছেষট্টিতে বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, ঊনসত্তরে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সত্তুরে ভোটের অধিকার এবং সর্বোপরি একাত্তরে স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সাত দশকের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। যখন বাঙালি জাতি, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছিল, ঠিক তখনই বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের উজ্জ্বলতম নক্ষত্রটিকে নিভিয়ে দিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হিংস্র হায়েনারা আঘাত হানে। পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট আমাদের দেশের সবার জন্য একটি বড় ব্যর্থতা। এটি শুধু আমাদের আওয়ামী লীগের জন্য ব্যর্থতা সেটা কিন্তু নয়, এটা আমাদের পুরো জাতির জন্য ব্যর্থতা। আমাদের এখন সবচে বড় সমস্যা হচ্ছে আমাদের যেসকল ব্যর্থতা গুলো রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে যারা এই দলের পাশে ছিল, যারা এই দলের জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, যারা এই দলের জন্য নিজের জীবনের সব কিছু আত্মত্যাগ করেছিল তাদের কি আজকে এই সময়ে পর্যন্ত পুরস্কৃত করতে পেরেছি? আমরা কি তাদের মূল্যায়ন করতে পেরেছি? একটি রাজনৈতিক দলে সংকট আসবে এটি ধরে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা অতীতে আমাদের দলের জন্য সব কিছু বিসর্জন করেছে তাদের যদি আমরা মূল্যায়ন করতে না পারি তাহলে আগামীতে যদি আমাদের সেই আগের মতো সংকট সৃষ্টি হয় তাহলে তখন এই মানুষ গুলো কিন্তু আর উৎসাহ পাবেন না যারা অতীতে এবং আজ দলের জন্য আত্মত্যাগ করে যাচ্ছে।