প্রকাশ: শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২, ১০:৩৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাঙালি জাতির জন্য নিষ্ঠুরতম মাস। কান্নার মাস। বেদনার মাস। শোকাবহ আগস্টে বাঙালি জাতি হারিয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকে হত্যা করেই শান্ত হয়নি শত্রুপক্ষ। এ মাসেই তার সুযোগ্যা কন্যা, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে মারার চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি সেই হত্যাকারী-ষড়যন্ত্রকারীদের কোনোদিনও ক্ষমা করবে না।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮০৯তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতালি আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রসুল কিটন, লন্ডন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুর রহিম শামীম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
আতিয়ার রসুল কিটন বলেন, বাঙালি জাতির জন্য নিষ্ঠুরতম মাস। কান্নার মাস। বেদনার মাস। শোকাবহ আগস্টে বাঙালি জাতি হারিয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকে হত্যা করেই শান্ত হয়নি শত্রুপক্ষ। এ মাসেই তার সুযোগ্যা কন্যা, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে মারার চেষ্টা করা হয়। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও অনেক নেতাকর্মীকে ওইদিন জীবন দিতে হয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের কয়েক বছর পর একদল অকৃতজ্ঞ বাঙালি নৃশংসভাবে হত্যা করে জাতির পিতাকে। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর তিন ছেলে- শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নীপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণি, তার সহধর্মিণী আরজু মণিসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। বাঙালি জাতি এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড মেনে নেয়নি। বঙ্গবন্ধুকন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রুখে দাঁড়িয়েছে। হত্যাকাণ্ডের যে খলনায়কদের বিচার না করে পুরস্কৃত করা হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছে। জাতিকে করেছে কলঙ্কমুক্ত।আগস্ট আমাদের শোকের মাস, যে শোক থেকে পুনর্জন্ম হয়েছে শক্তির, আর শক্তি থেকে জাগরণ, জাগরণ থেকে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের শপথ। সুতরাং এ মাসে আমাদের সজাগ থাকতে হবে, সচেতন হতে হবে, সোচ্চার হতে হবে সব অপশক্তির বিরুদ্ধে। সুতরাং আমাদের উচিৎ জাতির পিতার স্বপ্ন সম্পূর্ণ রূপে বাস্তবায়নের জন্য জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।