প্রকাশ: শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২, ৯:২৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ফুসফুস ভালো রাখতে নিয়মিত কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। ফুসফুস ভালো রাখতে পারে—এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জেনে নিন:
আমলকি: গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত আমলকি খেলে যকৃতের ধূলিকণার সব ক্ষতি ঠেকানো যায়। আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সর্দি-কাশি ঠেকাতে পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও আমলকির জুসের গুণ বর্ণনা করে বলা হয়েছে, শরীরের সব ধরনের ক্রিয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে তা।
টমেটো: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় টমেটো। গবেষকেরা বলছেন, টমেটোতে আছে দারুণ অ্যান্টিঅক্সিডেটিভ প্রভাব, যা কোষ ভালো রাখে। টমেটোতে আছে লাইকোপেন যা শ্বাসযন্ত্রের সুরক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। বাতাসে থাকা ক্ষতিকর ধূলিকণার প্রভাব হিসেবেও কাজ করে লাইকোপেন।
হলুদ: দূষিত কণার প্রভাব থেকে ফুসফুসকে সুরক্ষা দিতে কাজ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান হলুদে পাওয়া যায়।
তুলসী: তুলসীপাতা বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে ফুসফুসকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়া বাতাসে থাকা ধূলিকণা শোষণ করতে পারে তুলসীগাছ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন অল্প করে তুলসীপাতার রস খেলে শরীরের শ্বাসযন্ত্র থেকে দূষিত পদার্থ দূর হয়।
লেবুজাতীয় ফল: কমলা ও যেকোন ধরনের লেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। লেবুজাতীয় ফল নিয়মিত খেলে ফুসফুসে বায়ুর ক্ষতিকর উপাদানগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে না।
গুড়: অ্যাজমা ও ব্রংকাইটিসের মতো অনেক রোগ শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার অন্যতম কারণ। তিলের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়। বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে ফেলতে পারে এই খাবার।
সবুজ চা: প্রতিদিন দুই কাপ করে গ্রিন টি বা সবুজ চা খেতে পারেন। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এই চা। কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফুসফুসকে ভালো রাখতে এই উপাদানের জুড়ি নেই।