বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
নতুন সময়সূচিতে অফিস শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০২২, ১০:২২ এএম | অনলাইন সংস্করণ

বদলে গেছে সচিবালয়ের চিরচেনা রূপ। এত দিন সকাল নয়টায় অফিস শুরু হতো। কিন্তু নতুন নিয়মে বুধবার (২৪ আগস্ট) সকাল আটটা থেকে অফিস শুরু হয়েছে। এ কারণে সকাল ৮টার আগে থেকেই সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদচারণ শুরু হয়।

সচিবালয়ে দেখে গেছে, সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে আসতে শুরু করেন। আগে সাধারণত সাড়ে ৮টার মধ্যে অফিসে পৌঁছাতেন তারা। প্রথম দিনেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে প্রাণোচ্ছল ছিল সচিবালয়ের আঙিনা। 

নতুন সময়সূচির প্রথম দিনে সচিবালয়ে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে। তবে সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতে অনেকের মধ্যে তাড়াহুড়াও ছিল। 

নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী কয়েকজন মন্ত্রীকে সকাল ৮টার মধ্যে নিজ নিজ দফতরে আসতে দেখা গেছে। জানা গেছে, কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিবরা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ফ্লোরে ঘুরে ঘুরে উপস্থিতির হার পর্যবেক্ষণ করেছেন। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে পর্দা ব্যবহার করছেন কিনা, এসি ব্যবহার করছে কিনা এবং অতিরিক্ত বাতি না জ্বালানোর বিষয়ে তারা পর্যবেক্ষণ করেন।

কর্মচারীদের সংখ্যা দিনের শুরুতে কিছুটা কম থাকলে সাড়ে ৮টার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী সচিবালয়ে উপস্থিত হন।

মূল ফটকের অভ্যর্থনা কক্ষে শুরুতে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি তেমন একটা চোখে পড়েনি। তবে ৯টার পর কিছুসংক্ষক দর্শনার্থীকে ২ নম্বর গেট সংলগ্ন অভ্যর্থনা কেন্দ্রে আসতে দেখা যায়। এর আগে সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজত পুলিশ, আনসার এবং বিশেষ সংস্থার সদস্যারা নিজ নিজ দায়িত্ব বুঝে নেন।

সচিবালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এসব সদস্য সকাল ৮টার আগেই নিজ নিজ জায়গায় অবস্থান নেন।

এর আগে সোমবার (২২ আগস্ট) মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

স্বাভাবিক সময়ে সরকারি অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন আর লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালিত হতো ৬টা পর্যন্ত।

তবে, সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। এছাড়া জরুরি পরিষেবাগুলো নতুন অফিস সময়সূচির আওতাবহির্ভূত থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সময়সূচি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ নির্ধারণ করবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়— ব্যাংক, বিমা, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। উল্লেখ্য, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সোম ও মঙ্গলবার নির্দেশনায় ব্যাংকিং খাত ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাকে কীভাবে আরও ইফেক্টিভ করা যায় এ মুহূর্তে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইনস্ট্যান্টলি তো বাড়ানো সম্ভব হবে না। সে জন্য আলোচনা হয়েছে কতগুলো।

তিনি বলেন, আগামী ২৪ আগস্ট বুধবার থেকে সব সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত অফিস, সরকারের অধীনে যেসব অফিস আছে সেগুলো সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে। তবে, বেসরকারি অফিসের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

সরকারি অফিস পরিচালনার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে, সব সরকারি অফিসে কোথাও পর্দা টাঙানো থাকবে না। এগুলো তুলে লাইট যতসম্ভব কম লাগলে যতটুকু চলবে এবং এয়ারকুলারও যথাসম্ভব কম ব্যবহার করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মিটিংয়ে ছিলেন। উনিও গিয়ে ঘোষণা দিয়ে দিচ্ছেন, ব্যাংকগুলো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রীর প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে। উনিও (শিক্ষামন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়েছেন, সপ্তাহে দুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এসব সিদ্ধান্তের কারণে দুইটা সুবিধা হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একটা হলো বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, আরেকটা হলো ট্রাফিক জ্যামটাও কমবে।

এসব সিদ্ধান্ত কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয় তো হবেই। দেখা যাক, পরবর্তী অবস্থা উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত চলুক। সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক জ্যামটাও একটা ডিস্ট্রিবিউট হয়ে যাবে।

করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে অনেকগুলো ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এতে চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেকটাই কমে যায়। সংকট মোকাবিলায় সূচি করে লোডশেডিং দেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]