রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডারচাপায় একই পরিবারের পাঁচজন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় ক্রেনচালক মো. আল-আমিন হোসেন ওরফে হৃদয়সহ (২৫) ১০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, সকালে আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য আল-আমিন, রাকিব ও জুলফিকারকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াসীন গাজী। শুনানি শেষে বিচারক তাদের তিনজনকে চারদিন করে মঞ্জুর করেছেন।
এছাড়া রুবেল (২৮), মো. আফরোজ মিয়া (৫০), মো. ইফতেখার হোসেন (৩৯), আজহারুল ইসলাম মিঠু (৪৫), তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তুষার (৪২), রুহুল আমিন মৃধা (৩৩) ও মো. মঞ্জুরুল ইসলামকে (২৯) সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে বিচারক দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বুধবার (১৭ আগস্ট) রাতে ঢাকা, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন— ক্রেনচালক আল-আমিন হোসেন ওরফে হৃদয়, রাকিব হোসেন (২৩), দুর্ঘটনাস্থলে নিরপাত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ফোর ব্রাদার্স গার্ড সার্ভিসের ট্রাফিকম্যান মো. রুবেল (২৮), মো. আফরোজ মিয়া (৫০), ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সেফটি ইঞ্জিনিয়ার মো. জুলফিকার আলী শাহ (৩৯), হেভি ইকুইপমেন্ট সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত ইফসকন বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. ইফতেখার হোসেন (৩৯), হেড অব অপারেশন মো. আজহারুল ইসলাম মিঠু (৪৫), ক্রেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিল্ড ট্রেড কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তুষার (৪২), প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন মৃধা (৩৩) ও মো. মঞ্জুরুল ইসলাম (২৯)।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উত্তরায় প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী নিহত হন। ওই গাড়িতে থাকা নবদম্পতি গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান। হতাহতরা ঢাকায় একটি বৌ-ভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন।
ঐদিন রাতেই উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করা হয়। মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।