প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২, ১০:০৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সোহেল রানা জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী। বাবা নজরুল ইসলাম একজন দিনমজুর । মা শেফালী বেগমের অভাবের সংসারে সোহেল রানারা দুই ভাই দুই বোন।কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের আটিয়ারাড়ী গ্রামে পাঁচ শতাংশ জমির উপর কোনভাবেই সংসার চালিয়ে এক মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন নজরুল ইসলাম। অন্য মেয়েটি অনার্সে পড়ছেন কলেজে।
পরিবারের ব্যয়হার বহন করতে বর্তমানে অক্ষম নজরুল ইসলাম। ছেলে সোহেল রানা জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকেন সোহেলের বাবা-মা। শারীরিক প্রতিবন্ধী সোহেল রানা আস্তে আস্তে বড় হয়ে বর্তমানে সে রাবাইতারী শেখ ব্রাদার্স বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রতিনিয়ত হামাগুড়ি দিয়ে স্কুলে যায় সোহেল রানা। হাতের কনুই ও হাঁটু দিয়ে চলতে চলতে ঘা পড়ে গেছে তার। দিনমজুর বাবার সাধ্য নেই ছেলেকে একটি হুইলচেয়ার কিনে দেবার, তাইতো অতি কষ্টে হামাগুড়ি দিয়ে নিয়মিত স্কুলে গিয়ে ক্লাশ করছেন সোহেল রানা।
একটি হুইলচেয়ার চেয়ারে বসে নিয়মিত স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে চান সোহেল রানা। তাইতো সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বান দের কাছে একটি হুইলচেয়ার পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন সোহেল রানা ও তার পরিবার।
সোহেল রানার বাবা নজরুল ইসলাম জানান,আমি গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই, ছেলেকে হুইল চেয়ার কিনে দেয়ার সামর্থ্য আমার নেই তাইতো অনেক কষ্টের ছেলেটি আমার হামাগুড়ি দিয়েই স্কুল যাচ্ছে। কেউ একটি হয়েছে আর কিনে দিলে আমি তার জন্য অনেক দোয়া করতাম।
রাবাইতারী শেখ ব্রাদার্স বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক,জাকারিয়া শেখ জানান, সোহেল রানা নিয়মিত স্কুলে আসেন ও ক্লাস করেন ,তবে তাকে কেউ একটি হুইলচেয়ার কিনে দিলে তার কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।