ঝড়োহাওয়া ও মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ঝড়ো আবহাওয়া ও মুষলধারে বৃষ্টির কারনে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিল্পকলা একাডেমীর ভেতরে ও বাইরে বৃষ্টিতে ভিজে হাজার হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত হয়ে আলোচনা সভায় অংশ নেন।
সভায় সভাপতিত্বে করেন পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এ কে এম এ আউয়াল।
সভায় এ কে এম এ আউয়াল বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ বাঙালি জাতি কখনও শোধ করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে একটাই উদ্দেশ্য ছিল এদেশকে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্য বানানো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কুশিলব ছিলেন জিয়াউর রহমান। সেদিন স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এনে হাইকমিশনে চাকরি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রত্যেকটা পদক্ষেপে সহায়তা করেছেন। যারাই ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন তারাই শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করেছে। কিন্তু হত্যার মুখোমুখী হয়েও শেখ হাসিনা আজও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখনই চক্রান্তকারীরা যড়যন্ত্র শুরু করেছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, প্রত্যেক উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মান, রাস্তা ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণসহ দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোন যড়যন্ত্রকে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পিরোজপুর আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। এ দেশে আর কোন প্রকার জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের স্থান দেওয়া হবে না। দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কানাই লাল বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মোস্তফা কামাল, দফতর সম্পাদক শেখ ফিরোজ, পিরোজপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মল্লিক স্বপন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সিকদার মন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি সাদউল্লাহ লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম মিরণ, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহম্মেদ রানা, পৌর যুবলীগের সভাপতি আবু সাঈদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইরতিজা হাসান রাজু প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দ।