প্রকাশ: বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২, ৭:৫৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ওয়াশরুমে সিগারেট খাওয়ার অপরাধে তিন শ্রমিককে টর্চার ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে মুচলেকা নিয়ে চাকুরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে মোংলা ইপিজেডের জীম লাইট গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর এডমিন ষ্টেশন অফিসার হৃদয় মাহমুদের বিরুদ্ধে। চাকুরীচ্যুতদের অভিযোগ ফ্যাক্টরীর ওয়াশরুমে সিগারেট খাওয়ায় তাদেরকে নির্যাতন করে বেতন না দিয়েই চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তারা বলেন, তাদেরকে ইলেকট্রিকসহ দেয়াসহ নির্যাতন করে রোদ্রে দাঁড় করিয়ে রাখেন হৃদয় মাহমুদ।
জীম লাইট গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী থেকে চাকুরিচ্যুত মেশিন/শেলাই অপারেটর ইব্রাহিম জোমাদ্দার, নয়ন হাওলাদার ও হেলপার পলক জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফ্যাক্টরীটিতে কাজের ফাঁকে তারা ওয়াশরুমে গিয়ে ধুমপান করেন। ধুমপানের অভিযোগে ফ্যাক্টরীর সুপারভাইজার মোঃ মেহেদী ও লাইনম্যান মোঃ লিটন তাদেরকে সেখান থেকে ধরে এডমিন অফিসার হৃদয় মাহমুদের কাছে নিয়ে যান। এরপর এডমিন অফিসার হৃদয় তাদেরকে গালমন্দের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে রোদ্রে দাঁড় করিয়ে রাখেন। পরে তাদের কাছ থেকে চাকুরি থেকে অব্যাহতির মুচলেকা রেখে ফ্যাক্টরী থেকে বের করে দেন।
ইব্রাহিম, নয়ন ও পলক বলেন, দেড় মাস হলো সেখানে কাজে যোগদান করেন। এর আগে এক মাসের বেতন তারা পেয়েছেন। কিন্তু চাকুরীচ্যুতি করলেও তাদের বাকী ১৫ দিনের বেতন দেননি এডমিন অফিসার হৃদয়। তারা আরো বলেন, হৃদয় তাদেরকে ফ্যাক্টরী থেকে বের করে দিয়ে শাসিয়ে বলেছেন কোন কিছুই দেয়া হবেনা, যেখানে যাবি যা, যা খুশি তাই কর গিয়ে, তাতে কোন লাভ হবেনা। কারণ আমি যুবলীগ নেতা।
এ ঘটনার বিষয়ে হৃদয় মাহমুদ বলেন, সিগারেট খাওয়ার কারণেই তাদেরকে চাকুরিচ্যুতি করা হয়েছে। এখানে বেপজার কিছু নিয়ম রয়েছে, নিয়ম ভঙ্গের কারণেই এটা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তাদেরকে কোন ধরণের টর্চার কিংবা ইলেকট্রিক শর্ট দেয়া হয়নি, এটা তারা বানিয়ে মিথ্যা বলছে।
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। হৃদয় যদি এমন করে থাকে অবশ্যই তাকে সতর্ক ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর যাদের চাকুরিচ্যুতি করা হয়েছে তারা তাদের বেতনও অবশ্যই পাবেন, সেই ব্যবস্থাও আমি করছি।