প্রকাশ: বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২, ১২:১৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা কিন্তু এখনো জীবিত আছে। তারা কিন্তু এখনো নিঃশেষ হয়ে যায়নি। ষড়যন্ত্র সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকেই শুরু হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রে বিদেশী মদদও ছিল। কারণ যুদ্ধের পর সেসময় তারা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে চায়নি। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে এসে যদি এই বিশ্বাসঘাতকদের কঠোর হস্তে দমন করতো তাহলে কিন্তু এই ঘটনা ঘটতে পারতো না।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭৯৮তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ড. শ্রী বীরেন শিকদার, গবেষক ও লেখক মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ ফাউজুল মুবিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল বলেন, আগস্ট মাস বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক অন্ধকারাচ্ছন্ন অধ্যায়, এক শোকাবহ মাস। হাজার বছরের দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সাড়ে তিন বছর পর- ১৯৭৫ সালের এই মাসেই সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মুক্তির প্রবাদ পুরুষ, বাঙালি জাতির জনক ও বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকরা বাংলাদেশের বিকাশকে থমকে দিতে চেয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য পুঁজিবাদের রোষানল, ধর্মীয় উগ্রতা, সামাজিক নৈরাজ্য-অসমতা-বৈষম্য থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশকে একটি প্রগতিশীল, মানবিক ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু যেসব উদ্যোগ নিয়েছিলেন; বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেসব উদ্যোগকে বাতিল ঘোষণা করে ঘাতকরা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে শুধু একজন ব্যক্তিকেই হত্যা করা হয়নি, পুরো বাঙালি জাতির ভবিষ্যতকে হত্যা করে ঘাতকচক্র। এমনকি কেউ যেনো কখনো বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন বাস্তবায়ন করে বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথে দেখাতে না পারে, বাঙালি জাতি যেনো স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল ভোগ করতে না পারে, এজন্য তারা হত্যা করেছে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ১১ বছরের শিশু রাসেলসহ পরিবারের সব সদস্যকে। এমনকি পরবর্তীতে জাতীয় চার নেতা থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদেরও হত্যা করে এই চক্র। শুধু বিদেশ থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা।১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। একই বছর তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। দেশে ফেরার পরই শেখ হাসিনার চলাচলের ওপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকার। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ১৯বার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়।