প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২, ৮:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বেগম জিয়ার বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও বিদেশে বিনিয়োগকৃত অর্থের ভাগাভাগির হিসেব নিয়ে ভিন্ন রকম এক পারিবারিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। যার বলি হচ্ছেন বিএনপি নেত্রী। তারেক রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলার রাহমানের দ্বন্দ্বের ফায়সালা না হওয়ায় বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে কিছু করতে পারছেন না মির্জা ফখরুল ও আইনজীবীরা।
লন্ডনভিত্তিক একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে বেগম জিয়ার অর্থ-সম্পদের ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে মুক্তির জটিলতা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা গেছে।
লন্ডনে তারেক রহমানের বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখে এমন একটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে সেটি লন্ডন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এর নেপথ্যের কারণ হলো বেগম জিয়ার দেশ ও বিদেশের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে তারেক রহমান ও কোকোর স্ত্রী শর্মিলার দ্বন্দ্ব। কারণ দেশ ও বিদেশে বেগম জিয়ার হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ ও বিনিয়োগ রয়েছে। তাই তারেক রহমান চান জামিন ও প্যারোলের মুক্তি নিয়ে বিএনপিকে ধাঁধাঁয় ফেলে রাখা। বেগম জিয়া অবরুদ্ধ থাকলে তার বড় সন্তান হিসেবে তারেক রহমান যাবতীয় সম্পদ কুক্ষিগত করতে চান।
সূত্র বলছে, তারেক রহমান আপন ছোট ভাই আরাফাত রহমানের পরিবারকে বঞ্চিত করে একাই সকল সম্পদ ভোগ করতে চান। এমনকি বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়ে তেমন আন্তরিক নন। কারণ তারেক নিজেও জানেন যে, বেগম জিয়া যে অপরাধ করেছেন তাতে জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই বেগম জিয়া অবরুদ্ধ থাকলে তার অনুপস্থিতিতে সম্পদের মালিকানা দখল করা সহজ হবে, এমনটাই মনে করেন তারেক। এদিকে তারেক রহমানের এমন কুমতলবের বিষয়ে আঁচ পেয়েই যতদ্রুত সম্ভব বেগম জিয়াকে বুঝিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে মুক্তি নিয়ে তাকে লন্ডনে নিয়ে আসতে চান শর্মিলা রহমান। লন্ডন চিকিৎসার পাশাপাশি বেগম জিয়াকে তার বয়স বিবেচনা করে সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টনের জন্য বোঝাতে চান শর্মিলা। কারণ এর আগে সম্পত্তি দেখভালের নাম করে আরাফাত রহমানের কয়েক’শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারেক। যা অনেক চেষ্টা করে এমনকি বেগম জিয়ার কাছে নালিশ দিয়েও ফেরত পাননি কোকোপত্নী। তাই এবার অন্তত সেই ভুল করতে চান না তিনি। সম্পদের ন্যায্য হিস্যা পেতে তিনি বিএনপি নেতাদের বেগম জিয়াকে মুক্ত করানোর জন্য অনুরোধ করেছেন।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, সৌদি আরবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের নামে বেগম খালেদা জিয়ার প্রায় সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছে প্রায় আরো সাড়ে তিনশো কোটি টাকার সম্পদ। সিঙ্গাপুরে বেগম খালেদা জিয়ার নামে একশ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। মালয়েশিয়াতেও রয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার সম্পদ। সব মিলিয়ে বেগম জিয়ার কয়েক হাজার কোটি টাকা রয়েছে। আর সম্পদের ভাগবাটোয়ারার টানাপড়েনের কারণেই বেগম জিয়ার মুক্তি বিলম্বিত করছে তার পরিবারের দুটি পক্ষ।