প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২, ৭:৩৩ পিএম আপডেট: ১১.০৮.২০২২ ৮:৫৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাধের ৫ শত মিটারের মধ্যে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে রাত হলেই বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এই পরিস্থিতে ভাঙ্গনের আতঙ্কে পড়েছে পদ্মা পাড়ের হাজার হাজার মানুষ।
এতে সরকারের হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ভেস্তে যেতে পারে বলেও আশংকা করা হচ্ছে। গত ২০১৮ সালের বর্ষা মৌসুমে পদ্মার ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গৃহহীন হয়েছিল প্রায় ৬ হাজার পরিবার।
ফলে সরকারের পক্ষ থেকে নড়িয়া বাসিকে রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়ে পদ্মানদীর ডানতীর রক্ষা বাধ নির্মানের জন্য প্রকল্প নেয়া হয়। নৌবাহিনীর মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
এরই মধ্যে পদ্মা নদীর তলদেশ সুরেশ্বর ও চরআত্রা ইউনিয়নের পদ্মা নদী থেকে চরআত্রা ৯ নং ওয়াডের সাবেক মেম্বারের নেতৃত্বে একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে অবাধে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। ফলে ভাংগনের আশংকায় আতংকে পড়েছে পদ্মা পাড়ের হাজার হাজার মানুষ। ভেস্তে যেতে পারে সরকারের হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। এ ব্যাপারে প্রশাসনও নীরব।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাধের উত্তর পাশ্বে চরআত্রা ও সুরেশ্বর পয়েন্ট রাত হলেই অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে পদ্মার তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করে একাধিক বলগেট দিয়ে দেদারছে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। আর ভোর হলেই ড্রেজার গুলো সুরেশ্বর পদ্মা নদীর চরের খালে নিয়ে রাখে। অভৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙ্গনের মুখে পড়তে পারে নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর ও চরআত্রার ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
বালু উত্তোলনের বিষয়ে কথা বলতে একাধিক বার চেষ্টা করেও চরআত্রা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়াডের সাবেক মেম্বার আব্দুর রহিম পাওয়া যায়নি।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাশেদুজ্জামান বলেন, আমরা অবৈধ ড্রেজার এর বিরোদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি।
কাউকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেইন। অচিরেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।