প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২, ৭:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংস্কার কাজে বিভিন্ন অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে। নি¤œমানের কাজ হওয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ কাজ বন্ধ করে দিলে প্রায় ১৫ দিন কাজ বন্ধ থাকার পর পুনরায় একই ভাবে আবারও নি¤œমানের কাজ শুরু করেছে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাযার্লয় সুত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টাইলস লাগানো, মুল ভবনের দরজা জানালা সংস্কারসহ বিভিন্ন কাজের জন্য প্রায় ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার দরপত্র আহবান করা হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় শাম্মী বিল্ডার্স। অভিযোগ রয়েছে, প্রকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি করছেন না। তার এক আত্মীয় কাজটি বাস্তবায়ন করছেন বলে স্বাস্থ্য প্রকৌশলী জানান।
হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, কাজের শুরু থেকে ঠিকাদার বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে। মূল ভবনের ও বারান্দার মেঝের উপরের অংশ না তুলেই তার উপর বালু ও সিমেন্ট দিয়ে টাইলস লাগানো এবং বারান্দার মেঝের উপরের অংশ না তুলেই টাইলস লাগানো হচ্ছে এতে যে কোন সময় একটি টাইলস খুলে গেলে সব টাইলস খুলে যেতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মচারী বলেন, এর আগে নি¤œমানের কাজ হওয়ায় এলাকাবাসী তা বন্ধ করে দেয় এবং টাইলস খুলে ফেলে। পরবর্তীতে প্রায় ১৫ দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় একইরকম ভাবে কাজ চালু রাখা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, ঢালাইয়ে সময় কাজের তদারকি কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় ঠিকাদার ইট ভাঙ্গার রাবিস এবং পরিত্যক্ত খোয়া ব্যবহার করে ঢালাইয়ের কাজ করছেন। শুধু তাই নয়, মেশিনে মিকচার করে ঢালাই করার কথা থাকলেও হাতে মিকচার করে ঢালাইর কাজ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার নাসিরুল ইসলাম ডিকু বলেন, মিস্ত্রীদের অবহেলার কারনে কিছু অনিয়ম হয়েছে। বাকী কাজ সঠিক ভাবে করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা এএসএম ডাঃ সায়েম জানান, কাজের মান দেখার দায়িত্ব হেল্থ ইঞ্জিয়িারিং বিভাগের। আমরা প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ করতে বলেছি।
কাজের তদারকি কর্মকর্তা কুড়িগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে কথা বললে তিনি জানান, রিমডেলিং রেনোভেশন এন্ড রিপায়ারিং প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য বিভাগের হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কাজে কোন অনিয়ম হলে কিংবা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়ে থাকলে তা অব্যশই দেখা হবে।