প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২, ৩:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
গণভবন থেকে এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সভার সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে সরকারের পক্ষ থেকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসে। এতে ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ টাকা আর পেট্রলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়। একলাফে জ্বালানি তেলের দাম এত বাড়ার কারণে পরিবহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ছে। সরকার থেকে বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমন্বয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) লোকসান কমানোর জন্য জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
এ অবস্থায় সাংবাদিকেরা আজ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের কাছে জানতে চেয়েছিলেন জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে মন্ত্রিসভা কোনো নির্দেশনা দিয়েছে কি না।
জবাবে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের বিষয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বিপিসির চেয়ারম্যান ইতিমধ্যে সবকিছু বলেছেন। সেটি আজকে মন্ত্রিসভাকেও অবহিত করা হয়েছে। যেহেতু এটি কারিগরি বিষয়, তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে বলে দেওয়া হয়েছে। তারা যে ব্রিফিং করেছে, সেটি যেন পুনরায় করা হয়। কিছুদিন পরপর যেন এটি করা হয়, সেটিও বলা হয়েছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, সরকার যে যুক্তিতে দাম বাড়িয়েছে এটা তারা করতে পারে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এ জিনিসগুলোই আলোচনা হয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় বা বিপিসিতে বলা হয়েছে তারা যাতে ইমিডিয়েটলি জিনিসগুলো ক্লারিফাই (পরিষ্কার) করে।
সরকার কি জ্বালানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে- এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এগুলো ওনাদের (মন্ত্রণালয়) ব্রিফিংয়ে সব ক্লিয়ার করবেন।
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, আজ মূলত তারা পুরো ক্যাবিনেটকে ব্রিফ করেছে। এ বিষয়ে ক্যাবিনেট কোনো মতামত দেয়নি, তবে যে ওপিনিয়ন দিয়েছে- জ্বালানি মন্ত্রণালয় যাতে এ বিষয়টি ক্লারিফাই করে মানুষের সামনে তুলে ধরে।