প্রকাশ: বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০২২, ৯:৩৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সাভারের আশুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে ঢুকে হামলা, ভাংচুর ও শ্লিলতাহানীর অভিযোগে ইউপিসদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সকালে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের কুরগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আশুলিয়া পাথালিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও হাজী শওকত হোসেনের ছেলে শফিউল আলম সোহাগ (৩২), মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে রবিউল ইসলাম রনি (২৫), মো. তুহিন (২৫), ইসরাফিল (২৬), ফাহিম (৩২), হাবিব (২৪), শাহজাহান ভূইয়ার ছেলে রনি (৩০) ও আদিল (৩৬)। এছাড়ন পলাতক রয়েছেন-রেহমেত (১৯), নূর হোসেনের ছেলে সোহাগ (১৯), চারিগ্রাম এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে সাকিল শেখ (২৪), আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আতিকুর রহমান আশিক (২০), আবুল বাশারের ছেলে ফরহাদ (২৬), মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে রাব্বি (২৮) ও আবুল বাশারের ছেলে জিহাদ (২৩) সহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নিরিবিলি বস্তির মাঠে খেলার সময় ভুক্তভোগী তাওহীদের সাথে আসামি রেহমেতের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তাওহীদের মাথায় সেলাই রেঞ্জ দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে রেহমেত। এ সময় তাওহীদ আত্মরক্ষার জন্য দৌড়ে তাদের বাড়িতে ঢুকে পরে। পরে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে প্রবেশ করে তাওহীদের বোন তামান্না (১৫) কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার পোশাক টেনেহিঁচড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে গলা চেপে ধরে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় তামান্নাকে। ভুক্তভোগীর মা বকুল, ভাই তুহিন (২৬), খালাতো ভাই আল-আমিন (২৩) তামান্নাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাদেরও এলোপাতাড়ি মারধর করে অভিযুক্তরা। এসময় হামলাকারীরা বকুল বেগমের গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, আলমারি থেকে নগদ ৯০ হাজার টাকা লুট করে। যাওয়ার সময় একটি মোটরসাইকেল ভাঙ্গচুর করে প্রায় লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এঘটনায় গুরুতর আহত তাওহীদ এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও আল-আমিন ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
ভুক্তভোগী তাবাসসুম তামান্না বলেন, ইউপি সদস্য সোহাগসহ তার বাহিনী সন্ধ্যা থেকে প্রায় দুই ঘন্টা আমাদের বাসায় তান্ডব চালায়। আমাদের বাড়ির বিভিন্ন জিনিস ভাঙ্গচুর করে। আমার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন তিনি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, এঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। আমরা ৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছি। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।