'অর্থনীতির স্বার্থেই সরকারের কাছে মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া উপায় ছিল না'
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২, ৪:১০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশবাসীকে ধৈর্য ধরতেই হবে। জ্বালানি তেলের নতুন দাম সমাজের সবার কাছে সহনীয় হবে না। অর্থনীতির স্বার্থেই সরকারের কাছে মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া উপায় ছিল না।
শনিবার (৬ আগস্ট) প্রতিমন্ত্রী কেরানীগঞ্জে তার বাসভবনে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন। এই সময় তিনি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে এসব কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো ছাড়া আমাদের আর কিছু করার ছিল না। বিশ্ববাজারের প্রেক্ষাপটে আমরা বাড়তি কিছু করিনি। আর বিশ্ববাজারে যদি দাম কমে আসে তাহলে আমরা দাম আবার সমন্বয় করবো।
তিনি বলেন, আমরা চিন্তা করেছি যে, দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায় কিনা। কিন্তু এটা তারপরও সবার জন্য এটা সহনীয় নাও হতে পারে। কিন্তু আমাদের এখন এ ছাড়া কোনো উপায় নেই।
তিনি আরও বলেন,বলেন, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম যখন ১৭৩ ডলার ছিল, তখন যদি দাম বাড়াতে হতো তাহলে লিটার প্রতি ৮০ টাকা বাড়াতে হতো। আমরা তারপরও লোকসান দিয়ে গেছি। কারণ আমরা বাজার পর্যবেক্ষণ করছিলাম, আমরা দেখতে চাচ্ছিলাম আমরা নিজেদের অর্থ কতটুকু খরচ করতে পারি। কিন্তু এখন বিপিসির পক্ষে আর লোকসান টানা সম্ভব না। ৮ হাজার কোটি টাকার উপরে লোকসান হচ্ছে। এখন তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দাম বাড়ানোর বিকল্প ছিল না।
নসরুল হামিদ বলেন, ডিজেলের যে দাম বাড়ানো হয়েছে, তারপরও লিটার প্রতি ৮ টাকা লোকসান গুনতে হবে। সেই লোকসান সমন্বয় করতেই অকটেন ও পেট্রোলের দাম বাড়ানো হয়েছে। পেট্রোলের দাম বাড়ানোর আরেকটি কারণ হচ্ছে অকটেনের ভেজাল বন্ধ করা।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বার বার বলা হচ্ছে সাশ্রয়ী হন, তেল কম ব্যবহার করেন, গাড়ি কম ব্যবহার করেন। কারণ যানবাহন সেক্টরে সবচেয়ে বেশি ডিজেল ব্যবহার করা হয়। মাত্র ১০ শতাংশ ডিজেল ব্যবহার হতো বিদ্যুতে। এখনও যানবহন নিয়ন্ত্রণ করার সময় আছে।