প্রকাশ: শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২, ১০:১১ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একটি বহুতল আবাসিক ভবনে শুক্রবার (৫ আগস্ট) হঠাৎ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে পাঁচ বছরের এক শিশু এবং ইসলামিক জিহাদের এক কমান্ডারসহ অন্তত ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। খবর আল-জাজিরার।
ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেডস জানিয়েছে, গাজা শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্যালেস্টাইন টাওয়ারের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বিমান হামলায় মারা গেছেন তাইসির আল-জাবারি নামে তাদের এক কমান্ডার।
সংগঠনটি জানিয়েছে, দখলদারদের বিমান হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১০০র বেশি রকেট ছুড়েছে তারা।
এই ঘটনায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে আবারও ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মাত্র ১৫ মাস আগেই অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের মাসব্যাপী হামলায় ২৬০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছিলেন।
দোহা ইনস্টিটিউট অব গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের টেমের কারমাউত বলেন, সবাই বিচলিত, কেউ যুদ্ধ চায় না। কারমাউত গাজার বাসিন্দা এবং তার পরিবার এখনো ওই শহরেই রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে গাজায় চার-পাঁচটি বড় সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা এখনো উপত্যকা পুনর্গঠনের কথা বলছি। গাজা কখনোই সত্যিকারে সেরে ওঠেনি। এটি কেবল এক সংঘাত থেকে আরেক সংঘাতে বাস করে।
জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি নেতা বাসাম আল-সাদিকে গ্রেফতারের জেরে কয়েকদিন ধরে চলা উত্তেজনার মধ্যেই এ হামলা চালালো দখলদারবাহিনী। পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলের ওই অভিযানেও এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ শুক্রবার গাজার নিকটবর্তী এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি ‘এই অঞ্চল থেকে হুমকি দূর করবে এমন পদক্ষেপ’ নেওয়ার কথা বলেন।
বেনি গ্যান্টজ বলেন, ইসরায়েলের দক্ষিণে রুটিন জীবন পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা অভ্যন্তরীণ স্থিতিস্থাপকতা এবং বাহ্যিক শক্তি নিয়ে কাজ করবো। আমরা সংঘাত চাই না। তবুও প্রয়োজনে আমরা আমাদের নাগরিকদের রক্ষায় দ্বিধা করবো না।