প্রেমের টানে তামিলনাড়ুর প্রেমকান্ত এবার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে বরগুনার আলতলীতে অবস্থান নিয়েছেন।
শুক্রবার(৫ আগস্ট) তিনি তালতলীতে এসেছেন। এর আগে ২৪ জুলাই দুপুরে তিনি বরিশালে আসেন।রবিশালে এসে সে মারধরে শিকার হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল থেকে বরগুনায় এসে বিভিন্ন জায়গায় তার প্রেমিকাকে খুঁজতে থাকেন প্রেমকান্ত। অবশেষে ওইদিন দুপুরে প্রেমিকার পরিবারের সাথে কথা বলতে তালতলীতে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।
প্রেমকান্তের দাবি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সঙ্গে তালতলী উপজেলার টিএন্ডটি রোডের বাসিন্দা ও বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজে একাদ্বশ শ্রেণির প্রথমবর্ষে পড়ুয়া এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এভাবে ফেসবুকে তিন বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলে। এক পর্যায়ে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে দুই পরিবারের মধ্যেও। ওই ছাত্রীরর পরামর্শেই বাংলাদেশে আসেন তামিলনাড়ুর প্রেমকান্ত।
প্রেমিক প্রেমকান্ত জানান, বরিশালে আসার পর ওই শহরের বসে দেখাও মেলে তার প্রেমিকার সঙ্গে। দেখা হওয়ার একদিন পর প্রেমকান্ত জানতে পারেন তার অজান্তেই তালতলী উপজেলার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ওই কলেজছাত্রীর। এর পরই হঠাৎ প্রেমিকা ও তার পরিবার প্রেমকান্তের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
প্রেমকান্তের দাবি, ওই কলেজছাত্রীর কথিত প্রেমীক তাকে মারধর করে। পরে বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের হেফাজতে থাকতে হয়েছে তাকে।
প্রেমিক প্রেমকান্তের বিশ্বাস, দেখা হলে হয়তো আবারো তার জীবনে ফিরে আসবেন তার ওই প্রেমিকা। তাই গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল থেকে সড়কপথে তালতলী আসেন। শুক্রবার দুপুরে প্রেমিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে তালতলীর একটি রেস্টহাউজে অবস্থান করেন। তবে পরিবারের সাক্ষাত না পেয়ে আবার বরগুনায় চলে আসেন ওই তামিলনাড়ুর এই যুবক।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রেমকান্তের তালতলী অবস্থানের সংবাদ পেয়ে তার প্রেমিকের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গেছে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাকোয়াত হোসেন তপু মুঠোফোন বলেন, শুনেছি তামিলনাড়ুর এক যুবক তার প্রেমিকার খোঁজে তালতলীতে এসেছিল।